শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার পর জাতিসংঘ মঙ্গলবার জানিয়েছে, পরিস্থিতি অনুকূল হলে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবাহ বাড়াতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
গত মাসে জাতিসংঘ গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে এবং এর জন্য ইসরাইলের ‘পদ্ধতিগতভাবে মানবিক সহায়তা সরবরাহে বাধা’ দেওয়াকে দায়ী করে।
সোমবার ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, অবিলম্বে গাজা উপত্যকায় পূর্ণ সহায়তা পাঠানো হবে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এই সহায়তা জাতিসংঘ, এর সংস্থা এবং রেড ক্রিসেন্টসহ অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে অবাধে প্রবেশ ও বণ্টন করা হবে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ’র মুখপাত্র জেন্স লার্কে জোর দিয়ে বলেন, প্রস্তাব প্রণয়নে জাতিসংঘ জড়িত ছিল না।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘ ও এর মানবিক সংস্থাগুলো প্রথম দিন থেকেই যেমন কাজ করছে, তেমনি গাজার ভেতরে সহায়তা সরবরাহ বাড়াতে প্রস্তুত ও সক্ষম রয়েছে। শর্ত হচ্ছে এর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি, নিরাপত্তা ও সুযোগ থাকতে হবে।
লার্কে আরও জানান, বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে। এটি দাতারা অর্থায়ন করেছেন এবং তারাও আশা করবেন, আমরা এই সহায়তা প্রকৃতপক্ষে প্রয়োজনীয় মানুষের কাছে পৌঁছে দেব।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসের হাতে আটকাদের মুক্তি, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ধাপে ধাপে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। এরপর ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুদ্ধ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠন করা হবে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র আলেসান্দ্রা ভেলুচি বলেন, আমরা সব ধরনের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং যেকোনো শান্তি পরিকল্পনাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। এর মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদানও অন্তর্ভুক্ত।