শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্দুকধারীরা বন রক্ষাকারী এবং অপরাধী দল ও জিহাদিদের তাড়ানোর জন্য কমপক্ষে এক ডজন প্রহরীকে হত্যা করেছে। পুলিশ একথা জানিয়েছে।
রোববার কোয়ারা রাজ্যের রাজধানী ইলোরিন থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) দূরে অবস্থিত একটি ছোট শহর ওকে-ওডেতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
লাগোস থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সশস্ত্র ব্যক্তিরা ‘অঞ্চলে আক্রমণ করে ‘বিক্ষিপ্তভাবে গুলি চালায়’।
পুলিশ এবং বন সুরক্ষা পরিষেবাগুলো পাল্টা গুলিবর্ষণ করে এবং রক্ষীদের ‘১২ জনের মৃতদেহ’ উদ্ধার করে। হামলায় আরো চারজন আহত হয়।
বন্দুকধারীরা কারা ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা যায়নি।
তবে স্থানীয়ভাবে ডাকাত এবং জিহাদি নামে পরিচিত দলগুলো উত্তর ও মধ্য রাজ্যগুলোর বনাঞ্চলে লুকিয়ে থাকা ঘাঁটি থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
অপরাধী দলগুলো গ্রাম লুটপাট করে এবং পুড়িয়ে দেয় এবং মুক্তিপণের জন্য অপহরণও করে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজ্যটিতে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা মাহমুদা গ্রুপকে দায়ী করেছেন, যা আনসারু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একজন সিনিয়র নেতা মাহমুদ আল-নাইজেরির অনুগত একটি দল।
বোকো হারাম গ্রুপের মধ্যে ২০২১ সালে বিভক্তির মধ্য দিয়ে আনসারু গড়ে ওঠে এবং এই দলটি পরে আল-কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরেব এর সাথে জোটবদ্ধ হয়।
নাইজেরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নুহু রিবাদু গত মাসে বলেছিলেন, আনসারুর নাইজার এবং মধ্য নাইজেরিয়ার কোয়ারা রাজ্যে ‘শহুরে স্লিপার সেল’ এবং ‘দূরবর্তী বন ঘাঁটি’ রয়েছে।
আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে, নাইজেরিয়ান কর্তৃপক্ষ আনসারুর সহযোগী নেতা মাহমুদ মুহাম্মদ উসমানের সাথে আল-নাইজেরিকে আটক করার ঘোষণা দেয়।
কোয়ারা রাজ্যের গভর্নর আব্দুল রহমান আব্দুল রাজ্জাক ‘অপরাধীদের কার্যকলাপ বন্ধ করতে’ ‘নিরাপত্তা বৃদ্ধি’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।