শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশগুলো সোমবার সমর্থন জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্ররা হামাসকে এই পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
যদিও কিছু ফিলিস্তিনি এই প্রস্তাবকে ‘প্রহসন’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, হামাস এই প্রস্তাবে সাড়া না দিলে, তাদেরকে আরও ধ্বংসের মুখোমুখি হতে হবে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
আটটি আরব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকা এবং গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য তার আন্তরিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায়।’
তারা আরও বলেছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে চুক্তিটি চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিবাচক ও গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত।’
এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্ক।
বিবৃতিতে আরও স্বাক্ষর করেছে কাতার, যারা মধ্যস্থতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং সৌদি আরব, যাদের সঙ্গে ইসরাইলের ভবিষ্যৎ স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর অন্যতম লক্ষ্য।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দুটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানও বিবৃতিতে যুক্ত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ভবিষ্যতের গাজা নিরাপত্তা বাহিনীতে সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে এবং পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের প্রতি ‘পূর্ণ আস্থা’ প্রকাশ করে বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধের অবসানে যা যা করার দরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা করতে প্রস্তুত।’
ট্রাম্প শেহবাজ শরিফের বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের এই ‘আন্তরিক ও দৃঢ় প্রচেষ্টা’কে স্বাগত জানিয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে হামাস এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তারা বলছে, প্রস্তাবটি তারা এখনো পায়নি।
কিন্তু গাজায় হামাসের পাশে থেকে লড়াই করা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ এই পরিকল্পনাকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে অব্যাহত আগ্রাসনের একটি নতুন কৌশল’ বলে অভিহিত করেছে।
তারা বলছে, ‘এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় যুদ্ধের মাধ্যমে যা অর্জন করতে পারেনি, সেটিই চাপিয়ে দিতে চাইছে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দারা এই পরিকল্পনার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
তারা একে একটি প্রতারণা হিসেবে দেখছে, যাতে কেবল বন্দিদের মুক্ত করাই উদ্দেশ্য। কিন্তু এতে যুদ্ধ শেষ হবে না।
গাজার ৫২ বছর বয়সী বাসিন্দা আবু মাজেন নাসার বলেন, ‘আমরা এই প্রহসন মেনে নেব না।’