শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাশিয়ার পূর্ব দিকে জোটের প্রতিরক্ষা পরীক্ষা করার অভিযোগে ন্যাটো এই সপ্তাহে উত্তর সাগরে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরীতে এফ-১৮ যুদ্ধবিমান সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে এবং পাশে ২০টি জাহাজ এবং ১৩টি দেশের প্রায় ১০ হাজার সামরিক কর্মী রয়েছে।
ন্যাটোর নেপচুন স্ট্রাইক ২৫-৩ মহড়ার অংশ হিসেবে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার এবং ফরাসি ও ডেনিশ ফ্রিগেটগুলো বিশালাকার ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ডকে সমুদ্রে পাহারা দিচ্ছে।
নর্থ সী থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
মস্কোর সাথে তীব্র উত্তেজনার সময়ে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন এবং তাদের সমন্বয় পরীক্ষা করার জন্য, এফ-৩৫ এবং এফ-১৮ জেটগুলো ই-২ হীরার গঠনে একটি হকআই-এর পিছনে আকাশের ওপর দিয়ে উড্ডয়ন করে।
জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়ার একদিন আগে ২১ সেপ্টেম্বর বাল্টিক সাগরের ‘খুব নীচ’ দিয়ে জার্মান ফ্রিগেট হামবুর্গের ওপর দিয়ে একটি রাশিয়ান গোয়েন্দা বিমান তিনবার চক্কর দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা রাশিয়ার এই আচরণকে অপেশাদার এবং অসহযোগী বলে মনে করি’।
ন্যাটোর মহড়া শুরু হয়েছিল ঠিক সেই দিনই, যেদিন কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরে ‘তিন বা চারটি বড় ড্রোন’ কোপেনহেগেন বিমানবন্দরের ওপর দিয়ে চক্কর দিয়েছিল। যার ফলে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন সতর্ক করে বলেছেন, এই ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ আরো বাড়তে পারে।
ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ টুয়েলভের কমান্ডার মার্কিন রিয়ার অ্যাডমিরাল পল ল্যানজিলোটা ক্যারিয়ারের বিশাল হ্যাঙ্গারে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের মিত্রদের আশ্বস্ত করি এবং আমাদের প্রতিপক্ষ বা অন্যদের সাথে আমরা একটি গ্রুপ বা একটি দল হিসেবে কৌশলগত প্রতিরোধক স্থাপন করি’।
বিমানে থাকা এএফপি’র একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, এফ-১৮ বিমানগুলো গর্জনের সাথে উড়ে গেল।
ইন্টিগ্রেশন
ফ্রান্স তার ফ্রিগেট ব্রেটাগনে নিয়ে নেপচুন স্ট্রাইকে অংশগ্রহণ করে, যা সাবমেরিন-বিধ্বংসী এবং বিমান-বিধ্বংসী যুদ্ধ মিশন পরিচালনা করতে পারে।
ফ্রিগেটের কমান্ডার ক্যাপ্টেন নিকোলাস সাইমন ব্যাখ্যা করেছেন, এই মহড়া ‘তিনটি ভিন্ন সমুদ্র জুড়ে ১৩টি ন্যাটো দেশকে একত্রিত করে। এটি সমস্ত ন্যাটো বাহিনীকে একীভূত করার এবং উচ্চ-স্তরের মহড়ায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি উপায়’।
তিনি আরো বলেছেন, যখন জাহাজটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরীটির পাশাপাশি যাত্রা করছিল ‘ফ্রান্সের জন্য হলেও উদ্দেশ্য অবশ্যই সমস্ত ন্যাটো জাতির সাথে তার সংহতি প্রদর্শন করা। তবে বিমান ও সামুদ্রিক অভিযান পরিচালনায় তার পূর্ণ ক্ষমতা প্রদর্শন করা’।
নকল বিমান আক্রমণ, জাহাজে ওঠা এবং উভচর অবতরণ হল নেপচুন স্ট্রাইক। যে হুমকির বিরুদ্ধে জোটের শক্তি এবং সমন্বয় প্রদর্শনের অন্যতম উপায়। যার নাম সামরিক বাহিনী স্পষ্টভাবে বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাইফেল সজ্জিত সুরক্ষা ব্রিগেডের একটি ‘বোর্ডিং টিম’, ফরাসি ফ্রিগেট থেকে একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারে বিমানে করে এর পতাকা এবং পণ্যসম্ভার পরিদর্শন করা হয়।
বুধবার সকালে একটি ডেনিশ ফ্রিগেট, একটি ফরাসি ফ্রিগেট এবং দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারসহ বিমানবাহী রণতরীটি উত্তর সাগরের মধ্য দিয়ে যাত্রা করে এবং একটি সূক্ষ্ম কোরিওগ্রাফিক পদক্ষেপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।