বাসস
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:১৭
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২০

ইসরাইলি হামলায় সানায় নিহত ৯, আহত ১৭০ 

ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইয়েমেনের রাজধানী সানায় গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি ওই হামলায় কমপক্ষে নয় জন নিহত এবং ১৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইয়েমেনের হুতিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ ইসরাইলে বিদ্রোহীরা ড্রোন হামলা চালানোর একদিন পর ইসরাইলি বাহিনী এই হামলা চালায়। 

সানা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

এএফপি’র সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, তারা সানা এলাকার তিনটি স্থান থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখেছেন। গাজা যুদ্ধের পর হুতিরা ইসরাইলকে টার্গেটে পরিণত করার পর থেকে এটি সর্বশেষ প্রতিশোধমূলক হামলা।

ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্রোহী-অধিষ্ঠিত রাজধানীতে ইসরাইলি বাহিনী হুতি-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে এবং আরো হামলা হতে পারে। 

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী পরে বলেছে, ‘ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে’। এই সময় মধ্য ইসরাইলে সাইরেন বেজে ওঠে।

হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসবাহি এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, ইয়েমেনে উদ্ধারকারীরা এখনো ইসরাইলি হামলার শিকারদের সন্ধান করছে। হামলায় ‘নয়জন শহীদ এবং ১৭৪ জন আহত’ হয়েছেন।

হুতির আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেল, ‘একটি নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইসরাইল ‘নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সংশোধনাগারকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকজন বন্দী রয়েছে।’
আল-মাসিরাহ আগে বলেছিল, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং দ’ুটি আবাসিক এলাকাকে টার্গেট করা হয়েছে। আল-মাসিরাহ শেয়ার করা ছবিতে বোমা বিস্ফোরিত হওয়াসহ নিচু ভবনগুলো দেখা যাচ্ছে।

একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাস্তা পেঁচানো ধাতু ও কংক্রিটের টুকরো দিয়ে ভরা এবং অন্য ছবিতে একটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ দেখা যাচ্ছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেছেন, এই হামলা ‘সানায় হুতিদের অসংখ্য সন্ত্রাসী স্থাপনার ওপর একটি শক্তিশালী আঘাত’।

কাৎজ এক্স-এ বলেছেন, তারা ‘বেশ কয়েকটি সামরিক শিবিরে আঘাত করেছে ও হামলায় কয়েক ডজন হুতিকে নির্মূল করা হয়েছে এবং ইউএভি (ড্রোন) এবং অস্ত্রের মজুদ ধ্বংস করেছে।’

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থাপনায় হুতিদের জেনারেল স্টাফ সদর দপ্তরসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ও গোয়েন্দার স্থান অন্তর্ভুক্ত ছিল। যার মধ্যে কিছু অস্ত্র মজুদ এবং ইসরাইলে হামলার ‘পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন’ করার জন্য ব্যবহৃত হত।

এতে আরো বলা হয়েছে, হুতিদের ‘সামরিক জনসংযোগ সদর দপ্তর’ও টার্গেট করা হয়েছিল।