বাসস
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৫

ট্রাম্পের দাবি, তার সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার ‘অবৈধ’

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করাকে শুক্রবার ‘অবৈধ’ বলে দাবি করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের তীব্র সমালোচনা করেছেন।  

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এবিসি টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলের অনুষ্ঠান সাময়িক স্থগিত করার পর, যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তারা একটি খুব ভালো খবরকেও খারাপ বানিয়ে ফেলে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় এটা সত্যিই অবৈধ।’ 

এ বছর তিনি একাধিক বড় সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন।

৭৯ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতা টেলিভিশন দেখতে পছন্দ করেন। ট্রাম্প মূলত মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোর ওপর তার ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

তিনি আবার অভিযোগ করে বলেন, তার ও তার প্রশাসনকে নিয়ে প্রচারিত খবরের ‘৯৭ শতাংশই নেতিবাচক।’

এ সময় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)’র প্রধান ব্রেন্ডান কারের পক্ষ নেন। 
কার সম্প্রতি সম্প্রচারকদের হুমকি দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। এমনকি রিপাবলিকানদের মধ্যেও এ নিয়ে অস্বস্তি দেখা দেয়।

কার বুধবার কমেডিয়ান কিমেলের বক্তব্যের সমালোচনা করেন। কারণ কিমেল রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ক হত্যার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন। 

এরপর কার হুমকি দেন, কিমেলের অনুষ্ঠান প্রচার করলে সম্প্রচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। 
এর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই এবিসি কিমেলের অনুষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে।

শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রেন্ডান কার একজন অসাধারণ আমেরিকান ও দেশপ্রেমিক। তার সৎ  সাহস আছে।’

অন্যদিকে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ বলেন, সরকারের এমন অবস্থান নেওয়া বিপজ্জনক, যেখানে তারা ঠিক করে দেয় যে— কী বলা যাবে আর কী বলা যাবে না।

ক্রুজ সম্প্রচারকদের জরিমানা বা লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে কারের হুমকি প্রসঙ্গে মার্টিন স্করসেসি পরিচালিত গ্যাংস্টার সিনেমার উদাহরণ দেন।

ক্রুজ আরো বলেন, ‘আমাকে বলতে হবে, এটা পুরোপুরি ‘গুডফেলাস’ মুভির মতো। একেবারে সেই মাফিয়ার মতো, যে বারে ঢুকে বলে, ‘ভালো বার আছে তোমার। কিন্তু যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে মন্দ হবে।’

এদিকে গণমাধ্যমবিরোধী লড়াইয়ে ট্রাম্প নিজেও ধাক্কা খেয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। 

তবে এক ফেডারেল বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় মন্তব্য করেন।