শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নেপালে যুব নেতৃত্বাধীন দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে সরকার পতনের ঘটনায় নিহত ৭৩ জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশটিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে দেশের সকল সরকারি দফতরে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিক্ষোভের সময়ে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের সম্মানে শোক দিবস ঘোষণা করেছে।
গত সপ্তাহে দুই দিনের বিক্ষোভের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে।
৮ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বল্পস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু দুর্নীতি ও দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। প্রথম দিনেই দমন-পীড়নে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হন।
মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়, যার ফলে দেশব্যাপী ক্ষোভের ঝড় ওঠে। সরকারি অফিস, একটি হিলটন হোটেল ও অন্যান্য ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বিক্ষোভের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হামি নেপাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে যে ‘আজ আমরা যে পরিবর্তনগুলো দেখছি, তা বিক্ষোভের সময় যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের সাহস ও ত্যাগ ছাড়া সম্ভব হত না’ ।
কাঠমান্ডু থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি নিহতদের শহীদ ঘোষণা করে, তাদেরকে শ্মশানে রাষ্ট্রীয় সম্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দোকানদার পূজা শ্রেষ্ঠা (২২) বলেন, শোক দিবস মানুষকে একত্রিত করবে।
তিনি আরও বলেন, যা ঘটেছে, প্রাণহানির জন্য সবাই দুঃখিত। এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। আমরা আশা করি, নতুন সরকার আমাদের দেশে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনবে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নেপালে ১৫-২৪ বছর বয়সী এক-পঞ্চমাংশ মানুষ বেকার, যাদের মাথাপিছু জিডিপি মাত্র ১ হাজার ৪৪৭ ডলার।
পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ খারেল বুধবার বলেছেন যে বিক্ষোভের সময় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে পুলিশ অফিসার ও বন্দীরাও রয়েছেন। এরা পালিয়ে গিয়েছিল ।
তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভের সময় দুই ডজন কারাগার থেকে পালিয়ে আসা ১৩ হাজার ৫০০ জন বন্দীর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশিকে পুনরায় আটক করা হয়েছে অথবা তারা নিজেরাই আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ খারেল আরও বলেন, এখন পর্যন্ত পলাতক প্রায় ৫ হাজার বন্দী কারাগারে ফিরে এসেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই স্বেচ্ছায় কারাগারে ফিরে এসেছেন ।