শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ‘বন্যার কারণে রাজধানী কোটা কিনাবালুসহ নিচু এলাকার ২ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, ‘সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে সোমবার। রাজধানীর উপকণ্ঠে একটি অস্থায়ী বসতিতে ভূমিধসের ধ্বংসাবশেষ আঘাত হানে। এতে চার শিশুসহ আট জন নিহত হয়েছে।
আরেকটি ভূমিধসে, কোটা কিনাবালু থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) পূর্বে গানা এলাকায় তিন জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ১০ বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে।
এছাড়া গত সপ্তাহে পেনামপাং-এ ৯৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ কাদার নিচে চাপা পড়ে মারা যান।
কুয়ালালামপুর থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত ১০ দিন ধরে উত্তর-পূর্ব বোর্নিও দ্বীপের সাবাহ অঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণ হচ্ছে। যার ফলে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে, ভূমিধস ঘটেছে এবং বহু বাড়িঘর ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মালয়েশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র এই রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সময় সাবাহর নিচু এলাকাগুলো নিয়মিতভাবে বন্যার ঝুঁকিতে থাকে।
মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি সোমবার রাতে উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তার জন্য দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে তৎপর করেন।
সাবাহ রাজ্য সরকার দুর্যোগ মোকাবিলার কারণে মঙ্গলবারের মালয়েশিয়া দিবস উদযাপন বাতিল করেছে।
যদিও বর্তমানে বৃষ্টিপাত কমে এসেছে এবং বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে, তবে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন যে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
৪৪ বছর বয়সী ওলিভার গোলিঙ্গাই দ্য স্টার পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শুধু শান্ত থাকার চেষ্টা করছি, বাড়ির বন্যার পানি ও কাদা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মালয়েশিয়া দিবস উদযাপনের কথা ভাবার সময় নেই। এখন মূল লক্ষ্য হলো এই বন্যা এবং কাদা পরিষ্কার করা।’