শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কলম্বিয়াকে মিত্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটি শত শত মিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা হারাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর বরাত দিয়ে সোমবার বোগোটা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
বামপন্থী প্রেসিডেন্ট পেট্রো এক মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, ‘মাদক পাচারের অর্থায়নে পরিচালিত মাদক কার্টেল ও বামপন্থী গেরিলাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘কয়েক ডজন পুলিশ অফিসার ও সৈন্যের মৃত্যু সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করছে।’
বিশ্বের বৃহত্তম কোকেইন উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কোকা গাছের চাষ ও আন্তর্জাতিক বাজারে কোকেইনের পাচার রোধে ব্যর্থ হওয়ায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো, যখন ট্রাম্প মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর দমন অভিযান চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে মার্কিন বাহিনী ভেনেজুয়েলার সন্দেহভাজন দুটি মাদকবাহী নৌকা ধ্বংস করেছে। এতে ১৪ জন নিহত হয়।
২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রেসিডেন্ট পেট্রো যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন মাদকবিরোধী যুদ্ধে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছেন।
তিনি এই যুদ্ধকে ব্যর্থ বলে মনে করেন এবং বরং মাদকপাচারের পেছনের সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে জোর দিচ্ছেন।
কোলম্বিয়ার সরকার ও জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালের পর থেকে কোকো চাষ প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
সরকার অভিযোগ করেছে, যেসব বামপন্থী গেরিলা গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকার শান্তি আলোচনায় জড়িত ছিল, তারা আলোচনার সুযোগ নিয়ে তাদের মাদক ব্যবসাকে আরও বিস্তৃত করেছে।
এই স্বীকৃতি প্রত্যাহার কলম্বিয়ার জন্য বড় এক ধাক্কা, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন সামরিক ও পুলিশ বাহিনী গেরিলাদের ধারাবাহিক প্রাণঘাতী হামলার মুখে রয়েছে।
ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট পেট্রো ও ট্রাম্পের মধ্যে অভিবাসী প্রত্যাবাসন ইস্যুতে তীব্র বিবাদ শুরু হয়।