শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চলতি সপ্তাহে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করতে পারবেন পাপুয়া নিউ গিনির নাগরিকরা।
সোমবার ক্যানবেরা এ তথ্য জানিয়েছে।
এই চুক্তিকে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রভাব মোকাবিলার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সিডনি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
অস্ট্রেলিয়া থেকে পাপুয়া নিউ গিনির স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে বুধবার পোর্ট মোরসবিতে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও জেমস মারাপে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করবেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেনে, অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনী গত বছর থেকেই নিউজিল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
তিনি জাতীয় সম্প্রচারক এবিসিকে বলেন, ‘সেই সময় আমরা বলেছিলাম যে আমাদের প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে নজর থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘পিএনজি’র সঙ্গে আমরা যে চুক্তি স্বাক্ষর করব তাতে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনীর কথা উল্লেখ করে মার্লেস আরও বলেন, ‘এই পথে হাঁটার ক্ষেত্রে আরও অনেক কাজ বাকি আছে। তবে আমরা অবশ্যই পাপুয়া নিউ গিনির নাগরিকদের সরাসরি এডিএফ-এ কীভাবে নিয়োগ করতে পারি— তা নিয়ে আগ্রহী।’
চুক্তিটি ২০২৩ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সার্বিক নিরাপত্তা চুক্তিকে অনুসরণ করবে।
অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া জানিয়েছে, এই চুক্তি পাপুয়া নিউ গিনির নাগরিকদের অন্যান্য সদস্যদের মতো একই বেতনে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করতে এবং নাগরিকত্বের পথ উন্মুক্ত করতে সক্ষম করবে।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিলি জোসেফ বলেন, এই চুক্তি ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে উৎসাহিত করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি নিরাপদ পাপুয়া নিউ গিনি হচ্ছে, একটি নিরাপদ অস্ট্রেলিয়া এবং একটি নিরাপদ অস্ট্রেলিয়া হলো একটি নিরাপদ পাপুয়া নিউ গিনি।’
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরতম সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও কম দূরে অবস্থিত পাপুয়া নিউ গিনি মেলানেশিয়ার বৃহত্তম এবং সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র।
চীন গত দশকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোয় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং হাসপাতাল, ক্রীড়া স্টেডিয়াম, রাস্তাঘাট ও অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজে অর্থায়ন করেছে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, কিরিবাতি ও নাউরু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনের পক্ষে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
বেইজিংয়ের প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য ক্যানবেরা এই অঞ্চলের সঙ্গে তার সম্পর্ক জোরদার করেছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে গত সপ্তাহে আলবানিজ ভানুয়াতুতে ছিলেন।
তবে, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি।