বাসস
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২৭

কাতারে হামলার পর ইসরাইল সফরে রুবিও

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কাতারে ইসরাইলের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিও আজ রোববার ইসরাইল সফরে গেছেন।

সফরটি এমন এক সময় শুরু হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার দোহায় বৈঠকরত হামাস নেতাদের ওপর নজিরবিহীন হামলার জন্য ইসরাইলকে তিরস্কার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কাতারের ওপর এটিই ছিল ইসরাইলের প্রথম হামলা, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে নতুন করে সংকটে ফেলেছে।

জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, অঞ্চলটির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে গতকাল শনিবার রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রাম্প হামলায় খুশি নন, তবে এ ঘটনায় ইসরাইলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বদলে যাবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে অবশ্যই এ হামলার ফলে যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার ওপর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পরও তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। এদিকে ইসরাইল গাজায় সামরিক অভিযান আরো জোরদার করেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তারা গাজার সবচেয়ে বড় নগরী গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা জোরদার করেছে। শহরের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে এবং হামাস ব্যবহার করছে অভিযোগ এনে অনেক বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইসরাইলি সেনা ও হামাসের তথ্যমতে, হাজারো মানুষ শহর ছাড়লেও অনেকে এখনো গাজা সিটিতে রয়ে গেছেন।

জাতিসংঘের হিসাবে, গত আগস্টের শেষ দিকে গাজা সিটি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করেছিল। জাতিসংঘ সেখানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে, যার জন্য তারা ত্রাণ সরবরাহে ইসরাইলি বিধিনিষেধকে দায়ী করেছে।

গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চল থেকে দক্ষিণে পালিয়ে আসা বাকরি দিয়াব বলেন, ইসরাইলি হামলা দক্ষিণেও অব্যাহত রয়েছে।

৩৫ বছর বয়সী দিয়াব চার সন্তানের জনক, তিনি বলেন, দখলদার বাহিনী যা করেছে, তা হলো মানুষকে কোনো মৌলিক সেবা ও নিরাপত্তাহীন জায়গায় ঠেলে দেওয়া।

গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানায়, শনিবার ইসরাইলি হামলায় ৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গাজায় গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর বিধিনিষেধ ও অনেক এলাকায় প্রবেশের জটিলতার কারণে সিভিল ডিফেন্স বা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি এএফপি।