বাসস
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৪৬

রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট : মার্কিন অর্থমন্ত্রী 

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ জন্য ইউরোপের পূর্ণ সহযোগিতা জরুরি।

সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক বিশেষ দূতের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইইউ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, সোমবার ও মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হচ্ছে। আলোচনায় মূলত মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদার ও সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।

ইইউর নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক বিশেষ দূত ডেভিড ও’সালিভান এ বৈঠকে ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। রাশিয়া যাতে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক তৎপরতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

সোমবারের বৈঠকের পর বেসেন্ট এক্স-এ লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনায় সহায়তার কৌশলের অংশ হিসেবে ‘সব ধরনের বিকল্পই বিবেচনায় রয়েছে’।

তিনি আরো বলেন, যেভাবে এতদিন চলেছে, তা কার্যকর হয়নি। আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তবে সাফল্যের জন্য আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের পূর্ণ সহযোগিতা জরুরি।

বেসেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একমত।

একটি সূত্র এএফপি’কে জানায়, সোমবারের বৈঠকটি প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ধরে চলে এবং এতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানায়, বৈঠকে ট্রেজারি বিভাগ, হোয়াইট হাউস, পররাষ্ট্র দপ্তর ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বেসেন্টের সঙ্গে ছিলেন ট্রেজারির সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি জন হার্লে।

এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ বিমান হামলার পর রোববার ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তিনি ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন।

ট্রাম্প হুমকি দেন, যারা রাশিয়ার তেল কিনবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের যুদ্ধের অর্থের অন্যতম প্রধান উৎস বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত তিনি কেবল ভারতকে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছেন।

অন্যদিকে ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন এক দফা নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি ২০২২ সালের হামলার পর থেকে ১৯তম দফায় নিষেধাজ্ঞা। ইইউ জানায়, এর মধ্যে রাশিয়াকে শাস্তি এড়াতে সহায়তা করা দেশগুলোর বিরুদ্ধেও আরো সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

সোমবার কূটনীতিকরা জানান, নতুন এ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবে রুশ তেল জায়ান্ট লুকওয়েলকে টার্গেট করার জন্য জার্মানি ও ফ্রান্স চাপ দিচ্ছে।