শিরোনাম
ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। দেশটির নতুন আবিষ্কৃত তেল সম্পদ পরিচালনার জন্য তার দলকে একটি ভোটের মাধ্যমে ম্যান্ডেটও দেওয়া হয়েছে।
ভেনিজুয়েলার সঙ্গে আঞ্চলিক বিরোধের মধ্যে শনিবার নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে।
জর্জটাউন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন মধ্যরাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরফানের পিপলস প্রোগ্রেসিভ পার্টি/সিভিক (পিপিপি/সি) সোমবারের সাধারণ নির্বাচনে ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছে।
ইরফান বুধবার এএফপি’কে দেওয়া বিবৃতিতে ইতোমধ্যেই নির্বাচনে জয় দাবি করেছেন।
৪৫ বছর বয়সী মধ্য-বামপন্থী নেতা আলী এখন গায়ানার বিশাল তেল সম্পদের সুবিধা ৮ লাখ ৫০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
এদের অর্ধেকেরও বেশি এখনও দেশের ক্রমবর্ধমান জিডিপি সত্ত্বেও দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে।
আলীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয় ধনকুবের আজরুদ্দিন মোহাম্মদ।
আজরুদ্দিনকে ‘গায়ানিজ ট্রাম্প’ উপনাম দেওয়া হয়েছে। তার নবগঠিত (উইএন) ইনভেস্ট ইন ন্যাশনহুড (ডব্লিউ আইএন) দল ২৪.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
বিরোধী দল, এ পার্টনারশিপ ফর ন্যাশনাল ইউনিটি (এপিএনইউ), যা দেশের আফ্রো-গায়ানিজ জনসংখ্যার বেশিরভাগের প্রতিনিধিত্ব করে, ১৭.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
আলীর দলটি ইন্দো-গায়ানিজ সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বেশিরভাগ সমর্থন পায়।
তিনি ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সময়ে দ্বিতীয় বারের মতো পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, যিনি তেল সমৃদ্ধ এসেকুইবো অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করেন এবং মে মাসে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনে সেই অঞ্চলের জন্য কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করেন।
মাদকবিরোধী অভিযানের জন্য ক্যারিবিয়ানে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পর ভেনিজুয়েলার সঙ্গেও উত্তেজনা চলছে আলির।
এসেকুইবো অঞ্চল নিয়ে বিরোধ শতাব্দীর পুরনো, ২০১৫ সালে বিপুল তেল সম্পদ আবিষ্কারের পর তা আরো তীব্রতর হয়।
গায়ানায় বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম মাথাপিছু তেলের মজুদ রয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিদিন এক মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদনে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমান এই উৎপাদনের পরিমাণ ৬ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল।
তেল সম্পদের কারণে রাজ্যের বাজেট পাঁচ বছরে চারগুণ বেড়ে ২০২৫ সালে ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
গায়ানা ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আবেদন করে ১৮৯৯ সালের একটি রায় অনুমোদন করে, যা তার বর্তমান সীমানা নির্ধারণ করে।
কিন্তু ভেনিজুয়েলা আদালতের এখতিয়ার প্রত্যাখ্যান করে।