শিরোনাম
ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : উচ্চকক্ষের নির্বাচনে বিপর্যয়কর ফলাফলের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি রোববার জানিয়েছে, এই বিপর্যয়ের তার ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা নতুন নেতৃত্বের নির্বাচনের আয়োজনের চেষ্টা করায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
৬৮ বছর বয়সী ইশিবা প্রায় এক বছর আগে দীর্ঘদিন প্রভাবশালী লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
তারপর থেকে তিনি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান।
জাপানের সরকারি গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, বিভাজন এড়াতে ইশিবা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে আসাহী শিমবুন দৈনিক সংবাদপত্র বলেছে, পদত্যাগের আহ্বান বৃদ্ধির কারণে তিনি টিকে থাকতে পারেননি।
কৃষি মন্ত্রী ও সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী শনিবার রাতে ইশিবার সঙ্গে দেখা করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এনএইচকে জানিয়েছে, ইশিবা দিনের শেষের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে, দলের দুই নম্বর নেতা হিরোশি মোরিয়ামাসহ চার জন সিনিয়র এলডিপি কর্মকর্তা পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জুলাই মাসে উচ্চকক্ষের ভোটের পর ইশিবার বিরোধীরা তাকে নির্বাচনের ফলাফলের দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, এই পদক্ষেপকে সমর্থনকারীদের মধ্যে ৮৪ বছর বয়সী প্রভাবশালী সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসোও ছিলেন।
তবে আরও কিছু প্রবীণ সদস্য সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এলডিপির পুরনো ধাঁচের রাজনীতি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করছে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন চান এমন জাপান জুড়ে এলডিপি আইন প্রণেতা এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তারা সোমবার একটি অনুরোধ জমা দেবেন।
প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
দলীয় নেতা হিসেবে ইশিবার মেয়াদ ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী সানা তাকাইচি মঙ্গলবার বলেছিলেন যে, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সানাকে একজন কট্টর জাতীয়তাবাদী হিসেবে দেখা হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক চুক্তি ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বর্তমান চাল নীতি পরিবর্তনের সরকারের সিদ্ধান্তের পর ইশিবার মন্ত্রিসভার প্রতি সমর্থন ফিরে আসছে।
ভোটাররা ২০২৪ সালের শেষ নেতৃত্ব নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী তাকাইচির প্রতি খুব একটা আগ্রহী নন।
পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ ইশিবা গত বছর তার পঞ্চমবারের প্রচেষ্টায় ‘নতুন জাপান’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলডিপির নেতা নির্বাচিত হন।