শিরোনাম
ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইউক্রেন ইস্যুতে চীনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন।
শুক্রবার চীন জানিয়েছে, তারা অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের যেকোনো আহ্বানের ‘কঠোর বিরোধিতা’ করে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের নিন্দা বা সেনা প্রত্যাহারের আহ্বানও করেনি চীন।
বেইজিং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইউক্রেনের মিত্ররা মনে করে বেইজিং মস্কোকে সহায়তা করছে। তবে চীন নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করে এবং বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। একইসঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে বলে অভিযোগ করে আসছে চীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপি’কে জানিয়েছেন, প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ট্রাম্প চীনের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান। ট্রাম্প বলেছেন, ইউরোপকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে, যা যুদ্ধে অর্থের যোগান দিচ্ছে।
শুক্রবার ট্রাম্পের মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেইজিং এই সঙ্কটের (ইউক্রেন যুদ্ধের) জন্ম দেয়নি কিংবা এর পক্ষেও নয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা চীনকে বারবার এই বিষয়ে টেনে আনার চেষ্টার বিরোধিতা করি এবং চীনের ওপর তথাকথিত অর্থনৈতিক চাপ দেওয়ার বিরুদ্ধেও আমরা কঠোরভাবে আপত্তি জানাই।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ও বেইজিং ‘সীমাহীন অংশীদারত্ব’ ঘোষণা করে। এরপর থেকে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বুধবার পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে সঙ্গে নিয়ে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিকসহ অনেকেই এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।
চীন জানায়, ‘শান্তিকামী দেশ ও জনগণের সঙ্গে একযোগে ইতিহাস স্মরণ’ করতেই তারা বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
শুক্রবার এক সাংবাদিক দুই বার জানতে চান-চীন কী রাশিয়াকে ‘শান্তিকামী দেশ’ মনে করে ? এতে গুও সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছুই বলেন নি।