বাসস
  ২২ জুলাই ২০২৫, ১৪:১৭

আগামী বুধবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নতুন শান্তি আলোচনা হবে: জেলেনস্কি

ঢাকা, ২২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে নতুন দফা শান্তি আলোচনা আগামী বুধবার তুরস্কে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার রাতে প্রতিদিনকার ভাষণে এ কথা বলেন। 

যুদ্ধের অবসানের বিষয়ে এর আগে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে দুই দফায় আলোচনায় খুব কম অগ্রগতি হয়েছিল। 

কিয়েভ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

তুরস্ক সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, আলোচনাটি ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হবে। এখানে পূর্ববর্তী আলোচনাগুলো মে ও জুন মাসে কোনও অগ্রগতি অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে চুক্তিতে একমত হতে ৫০ দিন সময় দিয়েছেন।  

অন্যথায় নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার সর্বশেষ আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি নতুন দফা আলোচনার কথা ঘোষণা করলেন। 

রাশিয়ার হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের আশ্রয় নেওয়া ভূগর্ভস্থ একটি আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার জেলেনস্কি তার ভাষণে বলেন, ‘আজ আমি তুরস্কে রাশিয়ান পক্ষের সঙ্গে আরো একটি আলোচনার প্রস্তুতি নিয়ে রুস্তেম উমেরভের (ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান) সঙ্গে আলোচনা করেছি। রুস্তেম আমাকে জানিয়েছেন যে, বুধবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।’

তিনি বন্দি বিনিময় ও রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কে একটি নতুন বৈঠকের প্রস্তুতির দায়িত্বে রয়েছেন।

সপ্তাহান্তে নতুন করে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া জেলেনস্কি আরো বলেন, মঙ্গলবার আরো বিস্তারিত জানানো হবে। 

রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে নতুন আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঊর্ধ্বতন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এর আগে এএফপিকে বলেছিলেন যে, ইস্তাম্বুল আলোচনা সম্ভবত আরো বন্দী বিনিময় এবং জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের ওপর আলোকপাত করবে।

গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের পর থেকে যুদ্ধের মধ্যে ওয়াশিংটন একটি চুক্তির জন্য চাপ বাড়িয়েছিল। উভয় দেশ ১৬ মে ও ২ জুন ইস্তাম্বুলে বৈঠক করেছিল। কিন্তু বৈঠকে কোনও অগ্রগতি হয়নি।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার আলোচকরা কেবল বন্দী বিনিময় করতে সম্মত হয়েছেন।

রাশিয়া তখন থেকে ইউক্রেনের ওপর তীব্র বিমান হামলা শুরু করেছে এবং আরো অনেক অঞ্চল দখল করে নিয়েছে।

শান্তি চুক্তি কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনায় উভয় পক্ষই মতবিনিময় করেছে। কিন্তু এখনও তাদের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে।

রাশিয়া ইউক্রেনকে চারটি অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এবং ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে বলেছে। এই চারটি অঞ্চলের মধ্যে ২০১৪ সালে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা ক্রিমিয়াও রয়েছে।