বাসস
  ২২ জুলাই ২০২৫, ১২:২৪

ফিলিপাইনে বন্যায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত

ঢাকা, ২২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ফিলিপাইনে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত দুই জন নিখোঁজ রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগটির কারণে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার মুষলধারে বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনের রাজধানীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। 

ম্যানিলা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ম্যানিলা ও এর আশেপাশের প্রদেশগুলোতে এক রাতের বৃষ্টিতে মারিকিনা নদীর তীর ভেঙে যাওয়ার পর স্কুল ও সরকারি কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা  হয়েছে।

নদীর তীরে বসবাসকারী ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে, মেট্রোপলিটন এলাকার কুইজন ও ক্যালুকান শহর থেকে ২৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মারিকিনা উদ্ধার কার্যালয়ের উইলমার ট্যান বলেন, ‘এই মানুষগুলো নদীর তীরে নিচু এলাকার বাসিন্দা’। 
তিনি বলেন, নদীর পানি ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছেছে।

জরুরি অপারেশন সেন্টারের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক জন পল নিয়েটস বলেন, ক্যালুকানে একটি সেতু পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় একজন বয়স্ক নারী ও তার গাড়িচালক খালের পানির স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছেন।

তিনি বলেন, গত রাতে তাদের গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

নিয়েটস আরো বলেন, গাড়িটির জানালা ভেঙে গেছে। তারা হয়তো গাড়ি থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছেন বলে আশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে হাজার হাজার মানুষ এখনো তাদের বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে পারেনি।

জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় উইফা দেশটিকে অতিক্রম করার পর থেকে চলমান মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে মধ্য ও দক্ষিণ ফিলিপাইনে কমপক্ষে তিন জন নিহত ও সাত জন নিখোঁজ রয়েছেন।

প্রতি বছর কমপক্ষে ২০টি ঝড় বা টাইফুন ফিলিপাইনে আঘাত হানে অথবা দেশটির কাছাকাছি আসে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে দেশটির দরিদ্রতম অঞ্চলগুলো সাধারণত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক ঝড়গুলো আরো শক্তিশালী হচ্ছে।