শিরোনাম
ঢাকা, ২০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে চলমান সশস্ত্র সংঘাত থামাতে দেশটির সরকার ও রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই সংঘাত দেশটির খনিজ সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
দোহা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
কাতারে তিন মাস আলোচনার পর, উভয় পক্ষ নীতিগত এই ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। যুদ্ধবিরতি শর্তাবলীতে ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গত মাসে ওয়াশিংটনে কঙ্গো ও রুয়ান্ডা সরকারের মধ্যে একটি পৃথক শান্তি চুক্তি অনুসরণ করে হয়েছে।
প্রাকৃতিক সম্পদে, বিশেষ করে লাভজনক খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ, পূর্ব ডিআরসি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতে জর্জরিত। যুদ্ধ সেখানে একটি ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করে এবং লাখ লাখ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করে।
জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে এম২৩-এর অপ্রতিরোধ্য আক্রমণে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।
এই গোষ্ঠীটি গোমা এবং বুকাভুর মূল প্রাদেশিক রাজধানীসহ বিশাল অঞ্চল দখল করে নেয়।
দোহায় স্বাক্ষরিত চুক্তিতে, যুদ্ধরত পক্ষগুলো ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে’ সম্মত হয়েছে।
চুক্তির মধ্যে রয়েছে ‘ঘৃণামূলক প্রচারণা’ এবং ‘বল প্রয়োগ করে নতুন অবস্থান দখলের যে কোনো প্রচেষ্টা’ থেকে বিরত থাকা।
চুক্তিতে পূর্ব ডিআরসি’তে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য একটি রোডম্যাপ এবং একটি বিস্তৃত শান্তি চুক্তির জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু করার জন্য একটি চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কাতারের রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষরের পর কঙ্গোর প্রেসিডেন্টের দূত সুম্বু সীতা মাম্বু এবং এম২৩-এর স্থায়ী সচিব বেঞ্জামিন এমবোনিম্পা করমর্দন করেন।
এম২৩ কিনশাসার সঙ্গে নিজস্ব যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার ওপর জোর দিয়ে বলেছিল, গত জুন মাসে ওয়াশিংটনে স্বাক্ষরিত ডিআরসি-রুয়ান্ডা চুক্তিতে বিভিন্ন ‘সমস্যা’ বাদ দেওয়া হয়েছে, যা এখনও সমাধান করা প্রয়োজন।
উভয় পক্ষই বলেছে, নতুন চুক্তিটি ওয়াশিংটন চুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
চুক্তিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সময়ে এই অঞ্চলের জন্য ‘আশা এবং সুযোগের একটি নতুন অধ্যায়’ সূচনা বলে অভিহিত করেন।
শনিবার রুয়ান্ডা চুক্তির মধ্যস্থতার জন্য কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং বলেছে যে, এটি ‘গ্রেট লেকস অঞ্চলে টেকসই শান্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
আফ্রিকান ইউনিয়ন নতুন চুক্তিটিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হিসেবে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ‘এটি পূর্ব ডিআরসি এবং বৃহত্তর গ্রেট লেকস অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের চলমান প্রচেষ্টায় একটি বড় মাইলফলক।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের আঞ্চলিক শান্তিরক্ষা মিশন মনুস্কো চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছে।