শিরোনাম
ঢাকা, ২০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : উত্তর আফ্রিকা থেকে আগত অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পর গ্রিসে নতুন করে প্রবেশকারী প্রায় ২০০ জন অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
শনিবার গ্রীসের অভিবাসন মন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন।
গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী থানোস প্লেভরিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেন, কয়েক ঘণ্টায় লিবিয়া থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার করেছে উপকূল রক্ষীরা।
তিনি আরও জানান, তাদের আর আশ্রয় চাওয়ার অধিকার নেই, তাদের কোনও অভ্যর্থনা কেন্দ্রে নেওয়া হবে না। প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত, তারা পুলিশ হেফাজতে থাকবে।
উপকূলরক্ষী বাহিনী এএফপি’কে জানিয়েছে, গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে মোট ১৯০ জন অভিবাসী এসেছেন।
এছাড়া তুরস্ক উপকূলসংলগ্ন আগাথোনিসি দ্বীপের কাছে আরও ১১ জন অভিবাসীকে পাওয়া গেছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ইআরটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া থেকে অভিবাসীদের গ্রিসে আগমনের হার বেড়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের জন্মস্থান দ্বীপ ক্রিটে।
শুধু জুলাই মাসেই ২ হাজারের বেশি লোক সেখানে পৌঁছেছে, যা স্থানীয় কর্মকর্তা ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। তারা এই প্রবাহ বন্ধে সরকারের কঠোর ভূমিকা চাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে সরকার উত্তর আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে আগত যে কোনো ব্যক্তির আশ্রয় আবেদন গ্রহণ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে।
গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রণালয় এমন একটি আইনের খসড়াও তৈরি করেছে, যেখানে অবৈধ প্রবেশের জন্য অভিবাসীদের সর্বোচ্চ দুই বছর এবং দেশে অবৈধভাবে অবস্থান করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত আটক রাখার বিধান রাখা হয়েছে।
অভিবাসন মন্ত্রী প্লেভরিস বৃহস্পতিবার ওপেন টিভিকে বলেন, ‘আমার দেশে যারা অবৈধভাবে প্রবেশ করবে, তাদেরকে বুঝতে হবে যে, তারা আতিথেয়তার নয়, নজরদারির মধ্যে ঢুকেছে।’
অভিবাসীদের আগমনকে ‘আগ্রাসন’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, আমি প্রতিরোধের পক্ষপাতী, আমরা কোনো হোটেল নই।