শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্র মামলায় বিচারাধীন সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বাড়িতে শুক্রবার অভিযান চালিয়েছে ব্রাজিলের পুলিশ। একই দিনে আদালত তার ওপর নতুন কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বলসোনারোর মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারকের আদেশে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তার ছেলে এডুয়ার্ডো বলসোনারো একজন কংগ্রেস সদস্য। তিনি সম্প্রতি তার বাবার পক্ষে তদবির করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, ফেডারেল পুলিশ ‘আজ সকালে আমার বাবার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে’।
তিনি ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ও বলসোনারোর বিরোধী আলেক্সান্দ্রে দে মোরায়েস তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আদালত রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
বিচারক আদেশে বলসোনারোকে রাতের বেলা বাসা থেকে বের হওয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে পায়ে পরার ইলেকট্রনিক নজরদারি ডিভাইস পরিধানের নির্দেশ দেন আদালত।
বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার ২০২২ সালের নির্বাচনী বিজয় বাতিল করার অভিযোগে বলসোনারোর বিরুদ্ধে চলমান মামলার বিচারকদের একজন হলেন মোরায়েস। তিনি বলেছেন, অভিযুক্ত ও তার ছেলে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ‘শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড’ জড়িত থাকার প্রেক্ষিতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ট্রাম্প বলসোনারোর বিরুদ্ধে তদন্তকে ‘পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ দাবি করে ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
এডুয়ার্দো বলেন, বিচারক মোরায়েস ‘অনেক আগেই নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন।’
তিনি দাবি করেন, মোরায়েস রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে সুপ্রিম কোর্টকে ব্যক্তিগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
তিনি বলেন, ‘বিচারক এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মার্কিন সরকারকে অপরাধী হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু করতে না পেরে আমার বাবাকে বন্দি করার পথ বেছে নিয়েছেন।’
‘নির্বাসিত ব্রাজিলিয়ান কংগ্রেস সদস্য’ হিসেবে সই করা এক চিঠিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিচারক মোরায়েসের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক হয়রানির’ অভিযোগ তুলে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিলের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে বিচারক মোরায়েসের সমর্থনে থাকা অন্য বিচারকদের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।