শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সোমবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় অংশ নিচ্ছেন। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি পৃথক বৈঠকের খবর অস্বীকার করেছে।
জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এটি হবে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মন্ত্রীর মধ্যে একই কক্ষে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর জানায়, মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক কাজা কালাস এবং ভূমধ্যসাগর বিষয়ক কমিশনার দুব্রাভকা সুইকার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গিদিওন সার ইইউ’র বৈঠকের ফাঁকে একাধিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করারও পরিকল্পনা করছেন।
রামাল্লাহভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) নিশ্চিত করেছে, বৈঠকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারসেন আগাবেকিয়ান শাহিন উপস্থিত থাকবেন। তবে গিদিওন সারের সঙ্গে আলাদা বৈঠকের কথা অস্বীকার করেন তারা।
এক বিবৃতিতে পিএ জানায়, বৈঠকে শাহিন তার বক্তৃতায় ‘গাজা উপত্যকায় চলমান গণহত্যা, নাগরিকদের বাস্তুচ্যুতকরণ, দখলদার রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া পদ্ধতিগত অনাহার এবং ফিলিস্তিনি সরকারের ওপর আরোপিত আর্থিক অবরোধের বিষয়ে আলোকপাত করবেন।
বৈঠকে তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরের পরিস্থিতিও তুলে ধরবেন, যেখানে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। ইসরাইল সেখানকার উত্তর অংশে মাসব্যাপী সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। যার ফলে হাজারো ফিলিস্তিনি বাস্তুহারা হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শাহিন ইইউ’র শীর্ষ কূটনীতিক কাজা কালাসসহ ইউরোপের একাধিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণহত্যা, বাস্তুচ্যুতি ও ভূখণ্ড দখলের অপরাধ বন্ধ, শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক সদিচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে রাজনৈতিক আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত করতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করতে ইসরাইল সরকারকে বাধ্য করার দাবি জানাবেন।