শিরোনাম
ঢাকা, ১২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময়ের মধ্যেই ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইটটির ইঞ্জিনে জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াই ছিল ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার মূল কারণ। ভারতীয় বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। গত মাসে এই দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে যাদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক বলে নয়াদিল্লি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়। ।
শনিবার প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, জ্বালানির সরবরাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটির গতি দ্রুত কমতে শুরু করে এবং নিচের দিকে নামতে থাকে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে শোনা যায়, এক পাইলট আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘তিনি কেন জ্বালানি বন্ধ করেছেন।’ উত্তরে অপর পাইলট বলেন, ‘তিনি জ্বালানি বন্ধ করেননি।’
১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে তদন্ত ব্যুরো জানিয়েছে, বিমানটি সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছানোর পর, ‘ইঞ্জিন ১ এবং ইঞ্জিন ২ এর জ্বালানি কাটঅফ সুইচগুলো ১ সেকেন্ড ব্যবধানে একের পর এক রান থেকে কাটঅফ অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়।
তবে প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়নি যে, এই কথাগুলো ক্যাপ্টেন বলেছিলেন, না ফার্স্ট অফিসার। এমনকি ঠিক কোন পাইলট ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন তাও নির্দিষ্ট করা হয়নি। ফ্লাইটটি কীভাবে ‘কাটঅফ’ অবস্থানে চলে গেল, সে বিষয়েও কিছু বলা হয়নি।
এই সপ্তাহের শুরুতে, বিশেষজ্ঞ ওয়েবসাইট দ্য এয়ার কারেন্ট, তদন্তের সাথে পরিচিত একাধিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এটি ‘ইঞ্জিনের জ্বালানী সুইচগুলোর গতিবিধির ওপর তার মনোযোগ নিবদ্ধ করেছে’, এবং উল্লেখ করেছে যে সম্পূর্ণ বিশ্লেষণে কমপক্ষে কয়েক মাস সময় লাগবে।
ভারতীয় সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ২০১৮ সালে ‘জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ লকিং বৈশিষ্ট্যের সম্ভাব্য বিচ্ছিন্নতা’ সম্পর্কে একটি তথ্য বুলেটিন জারি করেছিল।
যদিও উদ্বেগটিকে ‘অনিরাপদ অবস্থা’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি যার জন্য আরো গুরুতর নির্দেশের প্রয়োজন হবে, এয়ার ইন্ডিয়া তদন্তকারীদের বলেছে, তারা প্রস্তাবিত পরিদর্শনগুলো পরিচালনা করেনি কারণ এগুলো ‘পরামর্শমূলক এবং বাধ্যতামূলক নয়’।