শিরোনাম
ঢাকা, ১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বৈশ্বিক সহায়তা বাজেটে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা তহবিল হ্রাসের কারণে চলতি বছর বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে বলে মঙ্গলবার সতর্ক করেছে ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিল।
কোপেনহেগেন থেকে এএফপি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসএইড-এর পরিচালিত বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচির ৮৩ শতাংশ বাজেট কমিয়েছেন। ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনও তাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি হ্রাস করেছে।
ডেনমার্ক ভিত্তিক ওই এনজিও বলেছে, এই সহায়তা কার্যক্রম চালু না থাকলে যেসব কারণে মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে, তা হলো- সংঘাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং অর্থনৈতিক সংকট। এগুলো মোকাবিলার জন্যই সহায়তা কার্যক্রম চালু ছিল।
ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিলের মহাসচিব শার্লট স্লেনটে এক বিবৃতিতে বলেন, যখন হঠাৎ করে সহায়তা বন্ধ হয়, তখন জীবনধারণের জন্য জরুরি সেবাগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সহিংসতা, অনাহার ও বাস্তুচ্যুতি ঠেকাতে যেসব সেবা দরকার ছিল, সেগুলোর অনুপস্থিতিতে বিপর্যয় দেখা দেয়।
সংস্থাটি জানায়, যদি যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় এবং অন্য দাতারাও অনুরূপভাবে কমিয়ে দেয়, তাহলে চলতি বছর নতুন করে ৭৮.৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। যদি সহায়তা অব্যাহত থাকে, তবে প্রায় ৩৯.৫ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আর যদি ৫০ শতাংশ সহায়তা কমানো হয়, তাহলে ৫৭.৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এনজিওটি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলের শেষ নাগাদ ১২ কোটি ২১ লাখ মানুষ যুদ্ধ, সহিংসতা বা নিপীড়নের কারণে নিজেদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।