শিরোনাম
ঢাকা, ১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : দেশটির লোমে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সাতজন নিহত হওয়ার পর সোমবার টোগোর নাগরিক সমাজ গোষ্ঠী এবং বিরোধী দলগুলো ‘আন্তর্জাতিক তদন্ত’ করার আহ্বান জানিয়েছে।
লোম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
বিক্ষোভের সময় ‘নিরাপত্তা বাহিনী এবং মিলিশিয়ার নির্যাতনে নিহত সাতটি মৃতদেহ রাজধানীর নদীপথ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দাবি করে রোববার এর নিন্দা জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
সরকার উদ্ধারকৃত মৃতদেহের সংখ্যা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেনি, তবে, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সমালোচনা করে এই মৃত্যুগুলো ডুবে যাওয়ার ফলে ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে।
বিরোধী দল এবং নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে ডোন্ট টাচ মাই কনস্টিটিউশন গ্রুপিং ‘তিন দিনের দমন-পীড়নের সময় সংঘটিত অপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্ত’ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলোর মুখপাত্র নাথানিয়েল অলিম্পিও বলেন, ‘যখনই দমন-পীড়ন হয় এবং মৃত্যু এবং গুরুতর আহত হয়, তখনই শাসকগোষ্ঠী তদন্তের ঘোষণা দেয়’।
‘কিন্তু আমরা কখনোই এই তদন্তের ফলাফল পাই না। আমরা কখনোই জানি না কে দায়ী এবং আমরা কখনোই মৃত্যুর পরিস্থিতি জানি না।’
‘লক্ষ্য হল কী ঘটেছে তা বোঝা, দায়ীদের চিহ্নিত করা, যাতে আমাদের দেশে এই ধরণের ঘটনা আবার না ঘটে।’
টোগোর জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ ক্যাথলিক এবং দেশটির পদস্থ খ্রীষ্টান ধর্ম যাজক বা বিশপদের সম্মেলনও সহিংসতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য এবং অসহনীয় বলে নিন্দা জানিয়েছে।
তারা বলেন, ‘একটি বিক্ষোভ দমন করার জন্য এই ধরণের অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলপ্রয়োগ অগ্রহণযোগ্য’।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টোগোতে বিক্ষোভ বিরল ছিল তবে সর্বশেষ বিক্ষোভটি ছিল এই মাসের মধ্যে রাস্তায় নেমে আসার দ্বিতীয় ডাক।
সরকারের সমালোচকদের গ্রেপ্তার, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং সাংবিধানিক সংস্কারের বিরুদ্ধে তাদের ডাক দেওয়া বিক্ষোভের ফলে ফাউরে গনাসিংবেকে তার ক্ষমতা সুসংহত করার সুযোগ পেয়েছে।
কর্তৃপক্ষ গত ৫ এবং ৬ জুন প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত লোমের আশেপাশের এলাকায় জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের কাঁদানে গ্যাস দিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছিল।
গনাসিংবে ২০০৫ সাল থেকে টোগোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।