বাসস
  ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৫৬

কানাডার শহর স্কোয়ামিশে দাবানলের সূত্রপাতের সাথে সাথে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি

ঢাকা, ১২ জুন, ২০২৫ (বাসস) : কানাডার ভয়াবহ দাবানলের মৌসুম আরো ভয়াবহ রুপ নেয়ার সাথে সাথে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে একটি শহরের বাসিন্দারা গতকাল বুধবার নিরাপদে সরে যেতে প্রস্তুত নিয়েছেন। কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, গ্রীষ্মকাল জুড়ে আবহাওয়া আরো দাবানল ছড়িয়ে পড়ার  উপযুক্ত সময়।
 
ভ্যাঙ্কুভার থেকে মাত্র ৬৪ কিলোমিটার (৪০ মাইল) উত্তরে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্কোয়ামিশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছ। বৃহত্তর মেট্রোপলিটন এই শহরটির জনসংখ্যা ত্রিশ লাখেরও বেশি। 
 
স্কোয়ামিশ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
 
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ মঙ্গলবার এক্সে এক পোস্টে সতর্ক করে বলেছে, স্কোয়ামিশ জেলার কিছু বাসিন্দাকে ‘অল্প সময়ের নোটিশে চলে যেতে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
 
স্কোয়ামিশের বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী ম্যাক্স হুইটেনবার্গ এএফপি’কে বলেছেন, আগুনের কাছের জনগোষ্টির এত কাছে গিয়ে তিনি ‘মর্মাহত।’
 
স্কেটবোর্ড কোচ বলেছেন ‘স্কোয়ামিশে আমি কখনো আগুন দেখিনি।’ 
 
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের বাড়ির বেশিরভাগ জিনিসপত্র প্রস্তুত করে রেখেছি। যদি আমাদের সরে যেতে হয়’। ‘আমরা যেতে প্রস্তুত থাকব।’
 
১৯ বছর বয়সী লুক প্রক্টরও বলেছেন, তিনি রাতের বেলায় প্রস্তুত থাকেন এবং ভোরে উঠেছেন।
তার বাবাকে ‘আমাদের জিপে ট্রেলারটি হুক করতে সাহায্য করেছেন, যদি আমাদের যেতে হয়।’
 
কানাডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের একজন গবেষক মার্ক-আন্দ্রে প্যারিসিয়েন বলেছেন, ‘স্কোয়ামিশের উপকূলের কাছাকাছি আগুন ‘উদ্বেগজনক কারণ’ এগুলো এমন এলাকা যেখানে অতীতে কখনো দাবানল  ছড়িয়ে পড়েনি।’
 
তিনি এএফপিকে বলেছেন, এগুলো অভ্যন্তরীণ আগুনের তুলনায় কম তীব্র থাকে তবে, ‘আমাদের এলাকায় দাবানলের আগুন আরো বেশি করে জ্বলছে’।
 
কানাডা আবারও ঐতিহাসিকভাবে ধ্বংসাত্মক গ্রীষ্মের দুই বছর পর একটি বিশাল দাবানলের মৌসুমের মুখোমুখি হচ্ছে। যেখানে পুড়ে যাওয়া এলাকাগুলো ইতোমধ্যেই সাম্প্রতিক বছরগুলোর গড়কে ছাড়িয়ে গেছে।
 
মঙ্গলবার সারা দেশে ২২০টিরও বেশি  দাবানল জ্বলছে। যার মধ্যে অর্ধেক নিয়ন্ত্রণের বাইওে চলে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
 
৩৩ লক্ষ হেক্টরেরও বেশি ইতোমধ্যেই আগুনে পুড়ে গেছে। 

কানাডিয়ান দাবানলের ধোঁয়া আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে।
 
- ‘ঝুঁকি বৃদ্ধি’ -
 
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডা বিশ্বের অন্যান্য অংশের তুলনায় কমপক্ষে দ্বিগুণ দ্রুত উষ্ণতা অনুভব করেছে।
 
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে যুক্ত ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার ফলে তুষারপাত কমে যায়। শীতকাল কম এবং হালকা হয় এবং গ্রীষ্মের আগের পরিস্থিতি দাবানলকে উৎসাহিত করে।
 
এনভায়রনমেন্ট কানাডা এই সপ্তাহে পূর্বাভাস দিয়েছে, গ্রীষ্ম জুড়ে কানাডার বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখা দিতে পারে।
 
এনভায়রনমেন্ট কানাডা জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি এলাকায় শুষ্ক বসন্তের পরিস্থিতির সাথে মিলিত হয়ে ‘আগামী মাসগুলোতে দাবানলের ঝুঁকি বাড়তে পারে।’