বাসস
  ০৯ জুন ২০২৫, ১০:২৪

ধর্ষণের অভিযোগে ব্রিটিশ সৈন্য গ্রেপ্তার

ঢাকা, ৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : কেনিয়ায় একজন ব্রিটিশ সৈনিককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে।

নাইরোবি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এএফপি’কে বলেছেন, ‘কেনিয়ায় এক সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে পারি।’ বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় আর কোনো মন্তব্য করা হবে না।

বিবিসি জানিয়েছে, গত মাসে নাইরোবির উত্তরে অবস্থিত নানিউকি শহরে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল। সেখানে একটি বৃহৎ ব্রিটিশ ঘাঁটি অবস্থিত।

বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রেপ্তারকৃত সৈনিক ধর্ষণের আগে সহকর্মীদের সাথে একটি নানিউকি বারে গিয়েছিলেন।

ব্রিটিশ সেনা প্রশিক্ষণ ইউনিট কেনিয়া ঘাঁটিটি অতীতে কেনিয়ায় বেশ কয়েকটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বিশেষ করে ২০১২ সালে এক তরুণী কেনীয় মহিলার হত্যাকে কেন্দ্র করে।

সেই ক্ষেত্রে, মহিলাটিকে শেষবার একজন ব্রিটিশ সৈনিকের সাথে জীবিত দেখা গিয়েছিল। তার মৃতদেহ একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে পাওয়া গিয়েছিল।

কোনো গ্রেপ্তার হয়নি কিন্তু ২০২১ সালে কেনিয়ার পুলিশ তাদের তদন্ত পুনরায় শুরু করে যখন ব্রিটেনের ‘সানডে টাইমস’ সংবাদপত্র রিপোর্ট করে যে, বেশ কয়েকজন সৈনিক একই রাতে তাদের একজন সহকর্মীকে মহিলাকে হত্যা করার বিষয়ে কথা বলতে শুনেছে।

২০০৩ সালে মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছিল, তারা ১৯৬৫ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে কেনিয়ায় ব্রিটিশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে ৬৫০টি ধর্ষণের অভিযোগ রেকর্ড করেছে।

কেনিয়া একটি প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশ ১৯৬৩ সালে স্বাধীন হয়।

‘বিএটিইউকে’, তার ওয়েবসাইটে বলেছে, এটি আফ্রিকার বৃহত্তম ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর দল। এটি বলেছে, এটি কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর সাথে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে এবং সেখান থেকে একটি ‘শান্তি সহায়তা দল’ আফ্রিকা জুড়ে মোতায়েন করে।

কেনিয়ার সাথে একটি চুক্তির অধীনে ধর্ষণের অভিযোগের সর্বশেষ মামলার প্রাথমিক এখতিয়ার ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর।