শিরোনাম
ঢাকা, ৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : আগামী বছরগুলোর জন্য ব্যয় পরিকল্পনা প্রকাশের কয়েকদিন আগে, রোববার যুক্তরাজ্য সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতে ৮৬ বিলিয়ন পাউন্ড (১১৬ বিলিয়ন পাউন্ড) বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
লন্ডন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
শ্রম অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কঠোর আর্থিক অবস্থার মধ্যে সরকারি বাজেটে ব্যাপক হ্রাস ঘোষণা করেছেন এবং বিনিয়োগের জন্য আরো ঋণ অনুমোদন করেছেন। যার ফলে দশকের শেষ নাগাদ মোট ১১৩ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।
সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই কাঠামোর মধ্যে, ‘প্রযুক্তি ও জীবন বিজ্ঞান থেকে শুরু করে উন্নত উৎপাদন ও প্রতিরক্ষা পর্যন্ত আমাদের দ্রুততম বর্ধনশীল খাতগুলোকে টার্বোচার্জ করার জন্য’ ৮৬ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করা হবে।
‘দ্য টাইমস’ সংবাদপত্রের মতে, রিভস বুধবার চাপের মুখে থাকা জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ৩০ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত তহবিল বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে চলেছেন। যখন তিনি আগামী বছরগুলোতে যুক্তরাজ্যের জনসাধারণের ব্যয়ের ওপর সরকারের বিস্তৃত পর্যালোচনা উপস্থাপন করবেন।
সরকার জানিয়েছে, ৮৬ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ ‘জনগণের অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং অর্থনীতি’ টার্গেট করবে।
সরকার আরো জানিয়েছে, বিনিয়োগ পরিকল্পনাটি যুক্তরাজ্য জুড়ে ‘উদ্ভাবন ক্লাস্টার’ বিকাশকে সক্ষম করবে এবং স্থানীয় সরকার নেতাদের তাদের তহবিল কোথায় যাবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেবে।
রিভস আশা করেছেন, ব্যয়টি মন্থর প্রবৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তুলবে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু হওয়া বাণিজ্য যুদ্ধের ফলেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকার এই সপ্তাহের শুরুতে ঘোষণা করেছে, পর্যালোচনায় ২০৩০ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের নগর অঞ্চলে গণপরিবহনে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করে ১৫ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি করার পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বুধবারের পর্যালোচনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও বাজেট বৃদ্ধি পাবে বলে নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে, তবে অন্যান্য বিভাগগুলোকে মার্চ মাসে ইতোমধ্যে ঘোষিত কাটছাঁটের বাইরেও তাদের বেল্ট শক্ত করতে হবে।
যেসব ক্ষেত্রকে টার্গেটে পরিণত করা হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সহায়তা এবং সরকারি পরিচালন খরচ।
শনিবার হাজার হাজার মানুষ মধ্য লন্ডনে এই প্রত্যাশিত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়েছিল। অনেকেই ‘ধনীদের ওপর কর আরোপ করো, কর্তন বন্ধ করো, যুদ্ধ নয় কল্যাণ’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরেছিল।