বাসস
  ০৮ জুন ২০২৫, ১৩:০৬

গাজায় জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে

ঢাকা, ৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : গাজা উপত্যকায় জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের মধ্যে ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির দাবিতে শনিবার রাতে তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।

‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরামের’ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তথাকথিত হোস্টেজেস স্কয়ারে জনতা ‘জনগণ জিম্মিদের বেছে নেয়!’ স্লোগান দিতে এবং তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য ‘একটি বিস্তৃত চুক্তি’ দাবি করতে জড়ো হয়েছিল।

এরআগে শনিবার হামাস অবশিষ্ট জিম্মিদের একজন মাতান জাঙ্গাউকারের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। যার স্বাস্থ্য খারাপ বলে মনে হচ্ছে এবং সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে তিনি বেঁচে থাকবেন না।

তেল আবিবে বিক্ষোভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তার মা আইনভ জাঙ্গাউকার বলেছেন, ‘আমি আর এই দুঃস্বপ্ন সহ্য করতে পারছি না। মৃত্যুর দূত নেতানিয়াহু জিম্মিদের বলিদান অব্যাহত রেখেছেন’। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেখানে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

জিম্মি লিওর রুডেফের কন্যা নোয়াম কাটজ, যাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু যার দেহ এখনো গাজা উপত্যকায় রয়েছে। তিনি অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি স্কোয়ারে জনতার উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেছেন, ফ্যামিলিজ ফোরাম বলেছে, ‘আমাদের পিতাদের ফিরিয়ে আনতে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে আরো সৈন্য পাঠাবেন না। একটি চুক্তির মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনুন। যুদ্ধ বন্ধ করুন!’।

শুক্রবার, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় চার সৈন্যের মৃত্যুর ঘোষণা দেয় এবং বলে যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে তাদের আরো ১০ হাজার সৈন্যের অভাব রয়েছে।

মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা এখনো পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।

২১ বছর বয়সে অপহৃত বার কুপারশটাইনের বাবা তাল কুপারশটাইন তার ছেলেকে ‘এখনই বাড়ি ফিরে আসার’ দাবি করেছিলেন!

‘আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে তিনি সকল জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে সম্মত হন।’

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে অপহৃত ২৫১ জনের মধ্যে ৫৫ জন এখনো গাজা উপত্যকায় আটক রয়েছেন, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ৩১ জন মারা গেছেন।