ঢাকা, ৮ জুন ২০২৫ (বাসস): যুক্তরাষ্ট্রের ‘অন্যায্য’ শুল্ক আরোপের তীব্র সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ডন ফারেল। রোববার তিনি বলেন, তার দেশ এখন অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্প্রসারণে কাজ করবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমানো যায়।

সিডনি থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার সব ধরনের রপ্তানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বিশ্বব্যাপী শুল্ক নীতির আওতায় দেশটির স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর চাপানো শুল্কহার বেড়ে ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারেল আরো বলেন, ‘আমি আশাবাদী, বিশ্বের যেসব দেশ মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্যে বিশ্বাস করে, তারা একযোগে একটি বৃহত্তর মুক্ত বাণিজ্য কাঠামো গঠনে সক্ষম হবে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র যাই করুক না কেন, আমাদের কাছে আরো বিকল্প বাণিজ্য অংশীদার থাকবে।’

প্যারিসে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও), অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় মূল বিষয় ছিল ‘সুরক্ষাবাদ’ প্রতিরোধ এবং মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা।

ডন ফারেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ আনুমানিক ১০০ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার (৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ট্রেলিয়া যা আমদানি করে, রপ্তানি করে তার চেয়ে কম।

তিনি আরো বলেন, ‘গত সপ্তাহে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রী জেমিসন গ্রিয়ারের কাছেও প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমি তাকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, অস্ট্রেলিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্ক আরোপ করেছে তা একেবারেই অন্যায্য।’

অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অল্পকিছু নয়, সব শুল্ক প্রত্যাহার চাই।

এদিকে গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, তারা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব গড়ার চেষ্টা করছে। ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় জোটটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।