বাসস
  ২৮ মে ২০২৫, ১৩:১৬

বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনায় ৪৭ শতাংশ মুনাফা হারিয়েছে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট পিডিডি হোল্ডিংস

ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস): চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট পিডিডি হোল্ডিংস বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় অর্ধেক মুনাফা হারিয়েছে। এর মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা, যার জন্য কোম্পানিটি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

সাংহাই থেকে এএফপি জানিয়েছে, সাংহাইভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তাদের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৪.৭ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ শতাংশ কম।

এই পতনের পেছনে অন্যতম কারণ হলো, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটি কাস্টমস ছাড় বাতিল করেছেন, যার আওতায় ৮০০ ডলারের কম মূল্যের পণ্যে কর লাগত না।

এই সুবিধাটি টেমুর মতো সস্তা পণ্য বিক্রয়কারী প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবসার মূল ভিত্তি ছিল।

মঙ্গলবার আয় প্রকাশের সময়, পিডিডি হোল্ডিংসের সহপ্রধান নির্বাহী লে চেন এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা আমাদের মার্চেন্ট ও গ্রাহকদের সহায়তার জন্য এবং বাহ্যিক পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছি। এই বিনিয়োগগুলোর কারণে আমাদের স্বল্পমেয়াদি মুনাফায় চাপ পড়েছে তবে তা ব্যবসায়ীদেরকে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়তা করেছে।

রাজস্ব বৃদ্ধির গতি কমেছে:

পিডিডডির আয়ের প্রবৃদ্ধি টানা চতুর্থ প্রান্তিকেও কমে গেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির রাজস্ব বেড়েছে ১০ শতাংশ। যা হয়েছে ৯৫.৭ বিলিয়ন ইউয়ান। 

কিন্তু ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ২৪ শতাংশ এবং ২০২৪ সালের শুরুতে তা ছিল ১৩১ শতাংশ। সেই তুলনায় এটি বড় ধরনের পতন।

কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ বিভাগ) জুন লিউ বলেন, এই প্রবৃদ্ধি হ্রাস প্রত্যাশিত ছিল। তবে বহিরাগত পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে তা আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।

তিনি আরও সতর্ক করেন, এই টানা বিনিয়োগ এবং অস্থির সময় কোম্পানির ভবিষ্যতের আর্থিক ফলাফলেও প্রভাব ফেলতে পারে।

এই আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর, নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে পিডিডির শেয়ারের মূল্য ১৩ শতাংশের বেশি পড়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন শুল্ক নীতি:

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর এক চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মাসে "ডি মিনিমিস" আইটেমগুলোর ওপর নতুন শুল্ক আরোপে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।

এই আদেশ অনুযায়ী, ইউএস পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে আসা এমন পণ্যের উপর এখন থেকে মোট মূল্যের ৫৪ শতাংশ শুল্ক বা ১০০ ডলার দিতে হবে।

এর আগে এ ধরনের পণ্যের উপর ১২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত ছিল।