বাসস
  ২৬ মে ২০২৫, ০৯:৩৯

অক্টোবরে পূর্ব তিমুর আসিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে : মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে যোগ দেওয়ার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে এক ধাপ এগিয়েছে পূর্ব তিমুর। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই দেশটি আসিয়ানের ১১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে রোববার জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান।

কুয়ালালামপুর থেকে এএফপি জানায়, কুয়ালালামপুরে আসিয়ানের একটি সম্মেলনের আগমুহূর্তে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'পূর্ব তিমুর যোগদানের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।'

পূর্ব তিমুর বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে পরিচিত। এ কারণে দেশটির আসিয়ানের উন্নয়ন কর্মসূচিতে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণের সক্ষমতা নিয়ে এখনও কিছু উদ্বেগ রয়ে গেছে।

তবে মোহাম্মদ হাসান জানান, আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পূর্ব তিমুর—এর পর্তুগিজ নাম 'তিমোর-লেস্তে' ব্যবহার করে—এর পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনের প্রচেষ্টাকে, বিশেষ করে বাকি থাকা মানদণ্ড পূরণে দেশটির উদ্যোগকে জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন।

তবে এখনও বাকি থাকা বিষয়গুলো কী, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি মালয়েশিয়ার শীর্ষ এই কূটনীতিক। তবে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে মালয়েশিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় আসিয়ানের পরবর্তী সম্মেলনে পূর্ণ সদস্যপদ অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

মোহামাদ বলেন, 'আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো এখন নিজ নিজ অভ্যন্তরীণ আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করবে, যাতে অক্টোবরের ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলন ও সংশ্লিষ্ট বৈঠকের আগেই তিমোর-লেস্তের অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়।'

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নবীনতম রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর ২৪ বছর ইন্দোনেশিয়ার দখলে থাকার পর ২০০২ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা বহুদিন ধরেই আসিয়ানের সদস্যপদের পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসছেন। প্রায় ১৩ লাখ জনসংখ্যার সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ পূর্ব তিমুর প্রথমবারের মতো ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদের আবেদন করে।

২০২২ সালে দেশটিকে আসিয়ানের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে নানা চ্যালেঞ্জের কারণে পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে।

বর্তমানে পূর্ব তিমুর মারাত্মক বৈষম্য, অপুষ্টি ও বেকারত্বের মতো সমস্যায় জর্জরিত। দেশটির অর্থনীতি এখনও তেলনির্ভর এবং অন্যান্য খাতে বৈচিত্র্য আনতে পারেনি।

আসিয়ানের অর্থনৈতিক সমাজে কার্যকর অংশগ্রহণের জন্য অত্যাবশ্যক অবকাঠামো উন্নয়ন ও মানবসম্পদ দক্ষতার ঘাটতিও রয়েছে দেশটিতে।