বাসস
  ২২ মে ২০২৫, ১১:২৮

ফ্যানি মে ও ফ্রেডি ম্যাক বেসরকারি খাতে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন ট্রাম্প

ঢাকা, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মর্টগেজ-সমর্থনকারী দুই বিশাল প্রতিষ্ঠান ফ্যানি মে ও ফ্রেডি ম্যাক-কে প্রায় দুই দশক পর আবার বেসরকারি খাতে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময় এগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছিল।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এক দশকের পুরনো একটি বিতর্কের অবসান ঘটবে, যা ওবামা প্রশাসনের সময় থেকে ঝুলে রয়েছে। তবে এতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হলেও গৃহঋণগ্রহীতাদের জন্য সুদের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের ঘোষণা:

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন, 'আমি ফ্যানি মে ও ফ্রেডি ম্যাককে আবার পাবলিক করতে (বাজারে ছাড়তে) অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এবং ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক উইলিয়াম পুল্টের সঙ্গে এ বিষয়ে আমি শিগগিরই আলোচনা করব এবং নিকট ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেব।'

প্রতিষ্ঠান দুটির ভূমিকা ও ইতিহাস:

ফ্যানি মে ও ফ্রেডি ম্যাক সরাসরি ব্যক্তিগত গৃহঋণ দেয় না। বরং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে গৃহঋণ কিনে তা একত্র করে বিনিয়োগপণ্য হিসেবে বাজারে ছাড়ে।

এতে বাজারে তারল্য বাড়ে এবং ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদি স্থির সুদের ঋণ দিতে পারে।

২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতিষ্ঠান দুটি প্রায় ৮০ শতাংশ মালিকানা কিনে নিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেয়, কারণ সেগুলোর অধীনে থাকা বিপুলসংখ্যক গৃহঋণ ডিফল্ট হয়ে যাচ্ছিল।

বর্তমান অবস্থা ও বিতর্ক:

বর্তমানে প্রতিষ্ঠান দুটি সরকারের কাছে তাদের দেনা পরিশোধ করেছে এবং তাদের হাতে এখন বিপুল নগদ অর্থ রয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, 'তারা এখন অনেক ভালো করছে, প্রচুর অর্থ লাভ করছে — সময়টা উপযুক্ত মনে হচ্ছে।'

বেসরকারিকরণের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি:

পক্ষে: প্রতিযোগিতা বাড়বে, করদাতাদের ঝুঁকি কমবে। বিপক্ষে: মর্টগেজ বাজারে তারল্য কমে যেতে পারে, সুদের হার বাড়তে পারে, নিম্নআয়ের মানুষের ঋণপ্রাপ্তি কঠিন হতে পারে।