শিরোনাম
ঢাকা, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস) : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বহুমাত্রিক কর-কাটছাঁট ও ব্যয় হ্রাস আইন ‘ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ভোটের ঘোষণা দিয়েছে রিপাবলিকান পার্টি।
বিলটির লক্ষ্য ট্রাম্প ঘোষিত নতুন ‘সোনালী যুগ’ বাস্তবায়ন, তবে সমালোচকরা বলছেন, এটি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে বিপুল পরিমাণে ঋণ বাড়াবে।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, বিলটি ট্রাম্পের ২০১৭ সালের কর-কাটছাঁটের মেয়াদ ১০ বছর বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের প্রস্তাব দিচ্ছে।
হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, এতে ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে, কিন্তু স্বাধীন বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরবর্তী এক দশকে এতে ঘাটতি বাড়বে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।
রাত ৪টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা ৩০ মিনিট) ভোট: স্পিকার মাইক জনসন ‘মেমোরিয়াল ডে’র আগেই ভোট শেষ করতে চাইলেও অংশগ্রহণ সংকটের কারণে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে ভোটের সময় নির্ধারণ করেছেন।
সমালোচনার মুখে বিল:
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস জানিয়েছে, এটি শীর্ষ ১০ শতাংশ ধনীর আয় বাড়াবে, কিন্তু সর্বনিম্ন ১০ শতাংশের আয় কমাবে।
স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সহায়তার ক্ষেত্রে শত শত বিলিয়ন ডলারের কাটছাঁট করার প্রস্তাব রয়েছে।
রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান কিথ সেলফ বলেন, 'আমরা ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ থেকে সরাসরি ৫৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবো।'
শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি নোটের সুদের হার ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ হয়েছে।
বিলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত:
বিলে রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরে মতবিরোধ স্পষ্ট। কনজারভেটিভ অর্থনৈতিক নীতিপন্থীদের আপত্তি থাকলেও হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর কয়েকজন কট্টর সদস্য অবস্থান বদলিয়েছেন।
মডারেট রিপাবলিকানদের চাপে:
মেডিকেইডে কর্মসংস্থানের শর্ত কার্যকর হওয়ার সময়সীমা ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ এগিয়ে আনা হয়েছে।
পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে করছাড় দ্রুত তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু রিপাবলিকান ‘সাল্ট’ করছাড়ের সীমা ১০ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার ডলার করার চুক্তি করেছেন।
চূড়ান্ত রূপ পাবে সিনেটে:
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস থেকে বিলটি পাস হলেও সিনেটে ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। ট্রাম্পের টেবিলে এটি পৌঁছাতে ৪ জুলাইয়ের সময়সীমা ধরা হয়েছে।
ডেমোক্র্যাটদের প্রতিক্রিয়া:
সিনেটর চাক শুমার বলেন, 'এই বিল প্রমাণ করে ধনীদের জয়, আর আমেরিকান পরিবারের হার।'