শিরোনাম
ঢাকা, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস) : ফ্রান্সের উত্তর উপকূলে ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় আট বছর বয়সী একটি ছেলে ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ফরাসি কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার ফ্রান্সের লিল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
উদ্ধার পরিষেবা জানায়, মৃত শিশুটি আট বছর বয়সী একটি ছেলে এবং নারী ছিলেন ৪০ বছর বয়সী, উভয়ই তুরস্কের নাগরিক।
সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এএফপির হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাতের এই সর্বশেষ মর্মান্তিক ঘটনার পর গত ১০ দিনে ব্রিটেনে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় সম্ভাব্য আশ্রয়প্রার্থীর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ জনে।
ফ্রান্সে’স মেরিটাইম প্রিফেকচার অব দি চ্যানেল এন্ড দি নর্থ সি জানিয়েছে, ফরাসি নৌবাহিনীর একটি জাহাজের কাছে সাহায্য চাওয়া প্রায় ৮০ জন অভিবাসী বহনকারী একটি অতিরিক্ত বোঝাই নৌকায় ওই নারী ও শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
চ্যানেল পার হয়ে শরণার্থীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পাচারকারীরা যেসব ছোট নৌকা ব্যবহার করে, সেগুলো প্রায়শই এত বেশি যাত্রী বহন করে যে যাত্রীরা শ্বাসবন্ধ হয়ে মারা যায় অথবা পিষ্ট হয়ে মারা যায়।
নৌকাটি উত্তরাঞ্চলীয় শহর গ্রেভলাইনস থেকে যাত্রা শুরু করে এবং একটি ফরাসি নৌবাহিনীর জাহাজ তাৎক্ষণিকভাবে এটি পর্যবেক্ষণের জন্য মোতায়েন করা হয়।
কর্তৃপক্ষ যখন জানতে পারে যে নৌকায় থাকা দুই যাত্রী-এক নারী ও একটি শিশু অজ্ঞান হয়ে পড়েছে, তখন ফরাসি সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করে।
সামুদ্রিক প্রিফেকচার জানিয়েছে, একটি মেডিকেল দল তাদের মৃত ঘোষণা করে এবং সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা আরও ১০ জন যাত্রীর সাথে বন্দর নগরী ক্যালাইসে নিয়ে যায়। নৌকাটি যুক্তরাজ্যের দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখে।
যারা সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই তুরস্কের নাগরিক, তবে তাদের মধ্যে ইরানি, ইরাকি এবং সুদানিও ছিলেন।
অভিবাসী সহায়তা সংস্থা, ইউটোপিয়া ৫৬ জানিয়েছে যে মানব-পাচারকারীরা অনুকূল আবহাওয়ার কারণে সম্প্রতি একাধিক ছোট নৌকা চালু করেছে।
ইউটোপিয়া ৫৬-এর সমন্বয়কারী সেলেস্টিন পিচাউড বলেছেন, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩০ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২১৩০ টা) থেকে বুধবার দুপুরের মধ্যে তারা দুর্দশাগ্রস্ত অভিবাসীদের কাছ থেকে নয়টি বার্তা পেয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই মাসে নিয়মিত ও অনিয়মিত অভিবাসনের উচ্চ স্তরের মোকাবিলায় আরও কঠোর নতুন নীতি ঘোষণা করেছেন।
ফরাসি কর্তৃপক্ষের মতে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় কমপক্ষে ১৫ জন অভিবাসী মারা গেছেন।
২০২৪ সালে ছোট নৌকায় চ্যানেল পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় মোট ৭৮ জন অভিবাসী মারা গেছেন, ২০১৮ সালে এই অঞ্চলে ক্রসিং বৃদ্ধির পর থেকে এটি রেকর্ড সংখ্যা।