শিরোনাম
ঢাকা, ২১ মে, ২০২৫ (বাসস): সম্পর্ক জোরদারে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের নেতাদের সঙ্গে সম্মেলনের আয়োজন করছে চীন। দেশটির শীর্ষ কূটনীতিকের আমন্ত্রণে আগামী সপ্তাহে দ্বীপপুঞ্জের নেতাদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কিরিবাতি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউ গিনি ও ফিজিসহ ১১টি দ্বীপদেশের নেতা ও কূটনীতিকরা আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার পূর্ব চীনের সিয়ামেন শহরে অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। এতে অংশ নেবেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিকরাও।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং জানান, সম্মেলনে পারস্পরিক ব্যাপক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে খুব গুরুত্ব দেয় চীন। তাই ভবিষ্যতের জন্য আমরা একসঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ চীন-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্প্রদায় গড়তে চাই।’
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজের প্রভাব জোরদার করার চেষ্টা বাড়াচ্ছে চীন। এর মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করছে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতুসহ বিভিন্ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে স্টেডিয়াম, সরকারি ভবন, হাসপাতাল ও সড়ক নির্মাণে শত শত মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে বেইজিং। চীনের এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ইতোমধ্যেই ফল দিতে শুরু করেছে।
কিরিবাতি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও নাউরু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তারা এখন সরাসরি চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালাচ্ছে।
এর মধ্যে সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২২ সালে এই দেশটি বেইজিংয়ের সঙ্গে একটি গোপন নিরাপত্তা চুক্তি করে। তাতে আশঙ্কা বাড়ে, চীন হয়তো একদিন এই দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে পারে।