শিরোনাম
ঢাকা, ২১ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইরান বুধবার জানিয়েছে, তারা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আজারবাইজান দূতাবাসে ভয়াবহ হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। দূতাবাসে হামলার ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছিল।
তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ’তেহরানে আজারবাইজান দূতাবাসে হামলাকারীর বিরুদ্ধে আজ সকালে প্রতিশোধ আইন কার্যকর করা হয়েছে।’
২০২৩ সালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সশস্ত্র হামলাকারীর হামলায় এক আজারবাইজানি কূটনীতিক নিহত এবং দুই নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
আজারবাইজান তেহরানে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয় এবং উভয় দেশই একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়।
তেহরান বলেছে, আক্রমণকারী ‘ব্যক্তিগত অভিযোগের’ ভিত্তিতে হামলা করেছে। তবে বাকু অভিযোগ করেছে, তেহরান ‘আক্রমণকে উৎসাহিত করেছে।
ইরানের চিরশত্রু ইসরাইলের সাথে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বহু বছর ধরে দুই সরকারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।
তেহরান দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে যে আজারবাইজানের ভূখণ্ড বাকুর প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী ইসরাইল ইরানের ওপর সম্ভাব্য আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহার করতে পারে।
ইরান আজারবাইজানকে তুরস্কের সাথে সংযুক্ত তথাকথিত জাঙ্গেজুর করিডোরের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে।
দুই দেশের সম্পর্ক ভাল হওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে গত মাসের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বাকুতে বিরল সফর করার পর এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
গত নভেম্বরে এবং এই মাসের শুরুতে উভয় দেশ যৌথ সামরিক মহড়াও করে। আদালত আক্রমণকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে আজারবাইজান তার দূতাবাস পুনরায় চালু করে।