শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৫ (বাসস): পুনর্নির্বাচনের পর প্রথম বিদেশ সফরে ইন্দোনেশিয়া এসে দেশটির সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।
জাকার্তা থেকে এএফপি জানায়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্বেগ, বিশেষত দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া গত বছর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার আওতায় যৌথ মহড়া ও পারস্পরিক মোতায়েনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তোর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আলবানিজ বলেন, ‘গত আগস্টে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি, যা লোমবক চুক্তিকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, সমুদ্র নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং মানবিক ও দুর্যোগ-প্রতিকার কার্যক্রমে নতুন সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একে গত তিন দশকে অস্ট্রেলিয়া-ইন্দোনেশিয়া নিরাপত্তা অংশীদারত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ মনে করি। তবে এটিকে আমি শেষ ধাপ নয়, বরং একটি পরবর্তী ধাপ হিসেবে দেখি।’
২০০৮ সালে বলবৎ হওয়া লোমবক চুক্তিতে যৌথ সামরিক মহড়া, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সামরিক প্রশিক্ষণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো জানান, প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্কও আরও দৃঢ় করার বিষয়ে দুই দেশ আলোচনা চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়াকে আমাদের অর্থনীতিতে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মাঝে এই সহযোগিতা জোরদার করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় আমাদের বিনিয়োগ জোরদার হওয়াটা স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয়, তবে তা অনিবার্য নয়। সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজকেও এতে আরও সক্রিয় হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া ও এই অঞ্চলের অগ্রগতি প্রমাণ করে যে, মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্য কেমন সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করে।’
প্রাবোয়োর নেতৃত্বাধীন প্রশাসনে ইন্দোনেশিয়া অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে উদ্যোগ নিয়েছে।
গত ডিসেম্বর, ক্ষমতায় আসার কয়েক মাস পরই, ইন্দোনেশিয়া ‘বালি নাইন’ মাদক চক্রের অবশিষ্ট পাঁচ সদস্যকে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত পাঠায়।
২০২৪ সালের আগস্টে প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের পর নভেম্বর মাসে দুই দেশের দুই হাজারেরও বেশি সেনা সদস্য একত্রে মহড়া চালান, যেখানে আকাশ, স্থল, সমুদ্র ও সাইবার অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত ছিল।