শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৫ (বাসস): গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কৌশলগত পাহাড়গুলো দখলের লক্ষ্যে তিন সপ্তাহের অভিযানে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৩১ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত। দেশটির সরকার এ তথ্য জানায়।
নয়াদিল্লি থেকে এএফপি জানায়, ভারত নকশাল বিদ্রোহের শেষ চিহ্ন মুছে দিতে সর্বাত্মক অভিযান চালাচ্ছে, যার নামকরণ করা হয়েছে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত গ্রামের নামে, যেখানে প্রায় ছয় দশক আগে মাওবাদে অনুপ্রাণিত গেরিলা আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
১৯৬৭ সালে মুষ্টিমেয় গ্রামবাসী তাদের সামন্ত প্রভুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পর থেকে ১২ হাজারেরও বেশি বিদ্রোহী, সৈন্য এবং বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
২০০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে, আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ হাজার যোদ্ধা নিয়ে বিদ্রোহীরা এই এলাকার প্রায় এক তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণে নেয়।
বুধবার এক্স-এ এক পোস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানা রাজ্যের সীমান্তবর্তী জঙ্গলে ঘেরা কারেগুট্টালু পাহাড়ে সর্বশেষ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
শাহ বলেন, ‘নকশালবাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ৩১ জন কুখ্যাত নকশালকে হত্যা করেছে।’
তিনি ভারতীয় জাতীয় পতাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এক সময় লাল সন্ত্রাসের দ্বারা শাসিত এই পাহাড় এখন গর্বের সাথে ত্রিবর্ণ পতাকা উড়িয়েছে।’
কারেগুট্টালুর পাহাড়গুলো একাধিক নকশাল সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ সদর দপ্তর ছিল যেখানে বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও কৌশলগত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হত।
শাহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে সরকার আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে ‘নকশালবাদকে মূল থেকে নির্মূল" করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বশেষ অভিযানের প্রশংসা করে বলেছেন, নকশালবাদ নির্মূলের অভিযান ‘সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে।’
তিনি এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, ‘নকশাল-অধ্যুষিত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের মূলধারার সাথে তাদের সংযুক্ত করার জন্য আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সরকারি তথ্য অনুসারে, গত বছর থেকে ভারতীয় সেনা বাহিনীর অভিযানে চারশতাধিক বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
গত মাসে, ভারতীয় সেনারা ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ১১ জন মাওবাদী বিদ্রোহীকে হত্যা করে।
নিরাপত্তা বাহিনী মার্চ মাসে ৩০ জন ও ফেব্রুয়ারিতে আরো ৩১ জন মাওবাদীকে হত্যা করেছে।