শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতায় না এলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকির মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বুধবার রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। এই ১৭তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে রাশিয়ার তথাকথিত ‘ছায়া’ তেলবহরের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসনের পর ইইউ ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। সর্বশেষ এই প্যাকেজটি আগামী মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইইউর ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের কূটনীতিকরা নিষেধাজ্ঞাগুলো অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছে জোটটির পোল্যান্ড নেতৃত্বাধীন প্রেসিডেন্সি।
নতুন প্যাকেজে প্রায় ২০০টি তেল ট্যাংকারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই ট্যাংকারগুলো রুশ তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এড়াতে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ভিয়েতনাম, সার্বিয়া ও তুরস্কের কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কোম্পানির বিরুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর জন্য পণ্য সরবরাহে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে।
এ পর্যন্ত যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাদের তালিকায় আরও ডজনখানেক রুশ কর্মকর্তাকে যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দের আওতায় আসা সংখ্যা প্রায় ২,৪০০-তে পৌঁছাবে।
নতুন নিষেধাজ্ঞায় ইউরোপে রুশ সাইবার হামলা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নাশকতার অভিযোগে ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন রাশিয়ান নাগরিকের ওপরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে ইইউ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, এবারকার প্যাকেজটি আগেরগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত সীমিত। কারণ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত না হলে রাশিয়ার ওপর ‘ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইইউ নেতারা।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই সপ্তাহে শান্তি আলোচনায় ‘বাস্তব অগ্রগতি’ না হলে রাশিয়াকে নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, পুতিন ও জেলেনস্কি আলোচনায় বসলে তিনিও তুরস্কে ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। তবে এখনও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে পুতিনের অংশগ্রহণের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।