শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জার্মানির ব্যবসাবান্ধব উদারপন্থী রাজনৈতিক দল ফ্রি ডেমোক্রেটস (এফডিপি) পার্লামেন্টে যাওয়ার জন্য পাঁচ শতাংশ ভোটের সীমা অতিক্রম করতে ব্যর্থ হওয়ায় দলটির প্রধান ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার রোববার পদত্যাগ করেছেন। বার্লিন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ওলাফ স্কোলজের অপ্রতিরোধ্য ত্রিমুখী জোট সরকারে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৪৬ বছর বয়সী লিন্ডনার। কিন্তু প্রায়শই সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট চ্যান্সেলরের সাথে তার মতবিরোধ দেখা দেয়। নভেম্বরে পরিস্থিতি চরমে ওঠে, যখন সরকারি ব্যয় নিয়ে তিক্ত বিরোধের পর স্কোলজ তাকে বরখাস্ত করেন। লিন্ডনারের এফডিপি দলের একজন ছাড়া বাকি সকলেই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। যার ফলে গত রোববারের সাধারণ নির্বাচনের পথ সুগম হয়।
প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, এফডিপি প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছেন। যা গত ২০২১ সালের নির্বাচনের তুলনায় সাত শতাংশ কম। দলের ভাগ্য আপাতদৃষ্টিতে স্থির হওয়ার সাথে সাথে, লিন্ডনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে ঘোষণা করেন যে, তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন।
রোববারের নির্বাচনে পতন লিন্ডনারের একটি অস্থির রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটায়। তিনি দলটিকে অনেক দূর থেকে থেকে টেনে এনে সরকারে বসিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে বুন্ডেস্ট্যাগ থেকে বিদায় নেওয়ার পর লিন্ডনার দলটির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে, ২০১৭ সালে এফডিপি তাদের ভোট প্রাপ্তির হার দ্বিগুণ করে এবং পার্লামেন্টে আসন পুনরুদ্ধার করে।
নির্বাচনের পর, উদারপন্থী নেতা নাটকীয়তার জন্য তার প্রাথমিক প্রতিভা দেখিয়েছিলেন। তিনি গ্রিনস এবং প্রাক্তন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের রক্ষণশীলদের সাথে আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। অপেক্ষমাণ সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি ঘোষণা করেন, ’খারাপভাবে শাসন করার চেয়ে শাসন না করাই ভালো।’
২০২১ সালের নির্বাচনের পর লিন্ডনার দ্বিতীয় সুযোগ পান, স্কোলজের সরকারে অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার দীর্ঘকাল কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা নিশ্চিত করেন। শেষ পর্যন্ত, তিনি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস এবং গ্রিনস-এর জোটের অংশীদারদের সাথে তার আদর্শিক পার্থক্য দূর করতে পারেননি। লিন্ডনার, একজন কঠোর রাজস্ব-বিদ্বেষী, করোনাভাইরাস মহামারীর পরে জার্মানির সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত ঋণ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করার জন্য স্কোলজের প্রস্তাবের সমালোচনা করেন। যার ফলে, তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করেন।