ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার ফক্স নিউজের সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, সরকারি চাকরি ছাঁটাইয়ের দায়িত্বে থাকা ইলন মাস্ক ফেডারেল সংস্থাগুলোতে ‘শত শত বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি’ খুঁজে বের করতে সাহায্য করবেন।

ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্টের খরচ কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্বে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে বড় ধরনের সাহায্য করবেন। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

সুপার বোল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আগে সম্প্রচারিত ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকান জনগণ চায় ‘আমি যেন অপচয় খুঁজে পাই।

ট্রাম্প ফক্স নিউজ চ্যানেলের ব্রেট বেয়ারকে বলেন, ‘আমরা কোটি কোটি, শত শত বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি ও অপব্যবহার খুঁজে বের করতে যাচ্ছি এবং আপনি জানেন, জনগণ আমাকে সেই ভিত্তিতে নির্বাচিত করেছে।’

ক্ষমতা গ্রহণের তিন সপ্তাহকালে প্রেসিডেন্ট ফেডারেল ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।

তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)- র অধীনে তার ফেডারেল ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য স্পেসএক্স এবং টেসলার প্রধান মাস্ককে নিযুক্ত করেছেন।

কোনও ব্যাপক অবৈধ কার্যকলাপ বা জালিয়াতির প্রমাণ না মিললেও প্রশাসনের তুলে ধরা বেশ ক’টি সরকারি প্রকল্প বন্ধ করা বা কমানো উচিত বলে মনে করছেন ট্রাম্প।

মাস্ক ইতোমধ্যেই মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) বন্ধ করার জন্য নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন। সংস্থাটির হাজার হাজার কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছেন তিনি।

শুক্রবার, একজন ফেডারেল বিচারক ইউএসএইড -এর বেতনভুক্ত ২ হাজার ২০০ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর প্রশাসনের পরিকল্পনা সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প সংস্থাটিতে ‘জালিয়াতির’ অভিযোগ করে দাবি করেন, ‘কোটি কোটি ডলার অর্থ এমন জায়গায় যাচ্ছে যেখানে তা যাওয়া উচিত নয়।’

ডিওজিই সংস্কার দল মার্কিন ট্রেজারির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্যে অ্যাক্সেস পেয়ে সমালোচকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

ট্রাম্প পেন্টাগনের ব্যয় পর্যালোচনার জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। পেন্টাগনের বাজেট প্রতি বছর ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ডিসেম্বরে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য ৮৯৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় অনুমোদনের একটি বিলে স্বাক্ষর করেছিলেন।

ট্রাম্প কানাডাকে সংযুক্ত করার একটি পরিকল্পনাও উপর পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী ৫১তম রাজ্য হওয়া অনেক ভালো হবে, কারণ আমরা কানাডায় বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলার হারাচ্ছি।

প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠানের পর থেকে, ট্রাম্প দৈনিক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বিলিয়ন ডলারকে মার্কিন ‘ভর্তুকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছেন যে এটি ছাড়া কানাডা ‘একটি কার্যকর দেশ’ হবে না।

অবৈধ অভিবাসন ও যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল পাচার রোধে উভয় দেশের সাথে চুক্তি করার পর ট্রাম্প কানাডা এবং মেক্সিকোর সকল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।