বাসস
  ২৬ মার্চ ২০২২, ১৮:৩০

চিকিৎসা ও সামাজিক সচেতনতাই মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে পারে : বক্তাদের অভিমত

ঢাকা, ২৬ মার্চ, ২০২২ (বাসস) : মাদক গ্রহণকারী ব্যক্তির প্রতি পরিবার ও সামাজের নেতিবাচক মনোভাব পোষণ পুনর্বাসন ও চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সঠিক চিকিৎসা ও সামাজিক সচেতনতাই পারে মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে। 
আজ শনিবার গাজীপুরে আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র আয়োজিত মাদক থেকে সুস্থতা প্রাপ্তদের রিকভারি গেট-টুগেদার অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, মাদক নির্ভরশীলতা একটি দীর্ঘস্থায়ী, রিল্যাপিং ডিসঅর্ডার। এই নির্ভরশীলতার ফলে বারবার মাদক গ্রহণের আগ্রহ তৈরি হয় এবং ক্ষতিকারক পরিণতি জানা সত্ত্বেও মাদকের ক্রমাগত ব্যবহার মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনে। দীর্ঘমেয়াদী মাদক গ্রহণের ফলে যেটা শারীরিক ও মানসিক ভারসম্যহীনতা তৈরি করে। তবে মাদক ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট ব্যাধিগুলি প্রতিরোধ এবং চিকিৎসাযোগ্য। 
মাদক নির্ভরশীলতা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবন-যাপন করা যায় এ কথা উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, হৃদরোগ বা হাঁপানির মতো অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের মতো মাদক নির্ভরশীলতা চিকিৎসা সাধারণত নিরাময় হয় না। তবে এই ধরনের রিকভারি গেট টুগেদারের মাধ্যমে মাদক নির্ভরশীল মানুষের প্রতি সামাজিক নেতিবাচক মনোভাব কমানো সম্ভব।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে মাদক গ্রহণ থেকে সুস্থ্য হওয়া ৪ শতাধিক  ব্যক্তি, পরিবারের সদস্য মিশনের বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মীরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও চিকিৎসার বাঁধা অতিক্রম করে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন এমন ব্যক্তিদের উৎসাহ প্রদান করা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) মো: জাফরুল্লাহ কাজল। এছাড়া অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সেলর মোশাররফ হোসেন, মনোচিকিৎসক ডা: আখতারুজ্জামান সেলিম, যশোর সেন্টারের ম্যানেজার আমিরুজ্জামান লিটন, গাজিপুর সেন্টারের ম্যানেজার মিজানুর রহমান, রিকভারী ও রিকভারী পরিবারের সদস্যরা।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এই কর্মসূচির মধ্যে ছিল রিকভারি রান, রিকভারি শেয়ারিং, ফ্যামিলি শেয়ারিং, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা,র‌্যাফেল ড্র,রিকভারি কাউন্টডাউন এবং উপহার বিতরণ ইত্যাদি।