শিরোনাম
ঢাকা, ২১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেছেন, মেডিক্যাল সাইন্সে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর ব্যবহার অনিবার্য। কোনোভাবেই এআই থেকে দূরে থাকা যাবে না। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ইন মেডিক্যাল সায়েন্স : টুডে এন্ড টুমোরো’ শীর্ষক ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ডা. শাহীনুল আলম আরো বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে। প্যাথলজি, রেডিওলজি, অনকোলজিসহ বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম সহজ ও গতিশীল, নিখুঁত করতে এ প্রযুক্তি বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশে মেডিক্যাল সায়েন্স এআই এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিএমইউকেই নেতৃত্ব দিতে হবে বলেও দাবি করেন অধ্যাপক ডা. শাহীনুল আলম। তিনি বলেন, এআই এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে এর উপকারিতা রোগীসহ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে বিএমইউসহ দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল সেমিনার সাব-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার।
অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এআই ছাড়া উপায় নাই। এআইকে ধরতে না পারলে মেডিক্যাল সায়েন্স পিছিয়ে যাব। এর ব্যবহারের মাধ্যমে ক্যান্সারের মতো রোগকেও আগেভাগে ও দ্রুত চিহ্নিত করা যায়।
অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিএমইউ ও বুয়েট যৌথভাবে কাজ করতে প্রস্তুত। বিএমইউতে ইতোমধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে এআই ভিত্তিক রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামীদিনে রোগীদের স্বার্থ ও কল্যাণে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রেই এআই এর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন বলেন, রোগ নির্ণয়, পরীক্ষানিরীক্ষা, চিকিৎসাসেবায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর গুরুত্ব অপরিসীম। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় এআই এর অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বিষয়টি নতুন হলেও এআই এর সঙ্গে অবশ্যই সকলকেই যুক্ত হতে হবে।
সেন্ট্রাল সেমিনারে কী নোট স্পিকার হিসেবে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স : দি ল্যান্ডস্কেপ ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমইউর সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী। বিএমইউর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন ‘এ আই ইন অনকোলজি : এ প্যারাডিজম শিফট ইন ক্যান্সার ডায়াগনোসিস এন্ড ট্রিটমেন্ট’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক তৌফিক হাসান, ‘এআই ইন মেডিসিন-চ্যালেঞ্জেস এন্ড অপরচুনিটিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আলোচকরা মেডিক্যাল সাইন্সে এআই এর ব্যবহারের উপকারিতা, সুযোগ ও সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ, সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি তুলে ধরেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সাব-কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা এবং সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. খালেদ মাহবুব মোর্শেদ মামুন।