বাসস
  ০২ জুলাই ২০২৫, ১৯:৩১
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৯:৩৪

ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে ডিএনসিসি’র মশক নিধন অভিযান শুরু

ছবি: ডিএনসিসি

ঢাকা, ২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী ডেঙ্গু সংক্রমন রোধে চিহ্নিত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডসমূহে বিশেষ সমন্বিত মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

আজ (২ জুলাই) সকালে মিরপুর-১, পাইকপাড়া সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্টাফ কোয়ার্টারে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের উদ্যোগে ‘অপারেশন ক্লিন টুডে: সেইফ টুমোরো’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সবার সচেতনতা, সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রন করা সহজ হবে। একই সাথে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এডিস মশার উৎপত্তি স্থলের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে, যেন তারা তাদের বাসাবাড়ির আশেপাশে পরিত্যক্ত পাত্রে পানি জমে থাকতে না দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর-এর জুন ২০২৫ এর প্রতিবেদনে ওয়ার্ড নং ০২, ০৮, ১২, ১৩, ২২ ও ৩৪-এ এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি বেশি পাওয়ায় এসব এলাকাকে ডেঙ্গু সংক্রমনের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৬টি ওয়ার্ডে মশার লার্ভার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে লার্ভা ও উড়ন্ত মশা নিধনে আজ থেকে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এ প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি, সিডিসি ও ডিএনসিসি’র কীটতত্ত্ববিদ, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমন্বয়ে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এই অভিযানের আওতায় এডিস মশার প্রজননস্থল অপসারণ, লার্ভিসাইডিং ও ফগিং, জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদান এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

অভিযান শেষে সিডিসি ও ডিএনসিসি’র কীটতত্ত্ববিদদের তত্ত্বাবধানে ‘কর্মসূচী পরবর্তী কীটতাত্ত্বিক জরিপ’ পরিচালনা করা হবে, যাতে কার্যক্রমের ফলাফল পর্যালোচনা ও পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।

ডিএনসিসি আশা করছে, এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।