শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধে দৃশ্যমান চোখের ক্রটি নির্ণয়ে পাহাড়তলীস্থ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে জার্মান এনজিও সংস্থা ‘কাকস্’ ও রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী সেন্ট্রালের নতুন প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়টি জেলায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আজ রোববার (২৯ জুন) সকালে চক্ষু হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে জার্মান এনজিও কাকস্-এর মি. গ্রিগর কনিগ, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. সোমা রানী রায় ও রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী’র সাবেক প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হাসপাতালের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ওসমানী, চীফ কনসালটেন্ট ডা. নাসিমুল গনি চৌধুরী, কনসালটেন্ট ডা. ফারজানা আক্তার চৌধুরী, ফিন্ড সুপারভাইজার বোরহান উদ্দিন ও জুনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসকান্দার হোসেন ওয়াসিম প্রমূখ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল তার সূচনালগ্ন থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধে চোখের রোগের স্ক্যানিং করে রোগ নির্ণয় করে আসছে। এবার জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের (ইপিআই টিকা প্রাপ্তকারী) টিকা দানকারীর মাধ্যমে চোখ পরীক্ষা করে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জার্মান এনজিও কাকস্ এর অর্থায়নে “টিকা দানকারীর মাধ্যমে শিশুর চক্ষু পরীক্ষা সুস্থ জীবন ও সুস্থ দৃষ্টির প্রতিশ্রুতি” নামে নতুন প্রকল্পটি কাজ শুরু হবে।
৮৪ লাখ টাকার দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি আগামী জুলাই থেকে শুরু হবে। প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল এবং সমন্বয়ক হিসেবে তদারকি করবেন রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী সেন্ট্রাল।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ওসমানী জানান, প্রকল্পের আওতায় জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুদের চোখের অস্বাভাবিক লক্ষণগুলো শনাক্ত, চোখের ছানি, ক্যান্সার, টেরা চোখ, গ্লুকোমা ইত্যাদি নির্ণয় করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
চট্টগ্রাম ফেনী রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবান এই ৬টি জেলায় প্রকল্পটির কার্যক্রম চলবে।