শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস): ঢাবি ভর্তিতে কোটা নয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ-আহত পরিবারের সদস্যরা পেতে পারেন বিশেষ আর্থিক সুবিধা। এ নিয়ে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ প্রচারণা শনাক্ত করেছে প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তালিকাভুক্ত শহীদ ও আহত ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের সদস্য শুধু ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তিতে কোন কোটা সুবিধা নয়, ভর্তির সকল ক্রাইটেরিয়া পূরণ করা হলে ‘বিশেষ সুবিধা’ হিসেবে আর্থিক সুবিধা পেতে পারে, এমনটি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তালিকাভুক্ত শহীদ এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে। এতে আরও বলা হয়, পরিবারের সদস্য হিসেবে স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে বিশেষ সুবিধা পাবেন। স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে না থাকলে শহীদ ও আহতদের ভাই-বোন এই সুবিধা পাবেন। সম্প্রতি ডিনস কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, জনসংযোগ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কি কি বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে তা ডিনস কমিটির পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গণমাধ্যমের মারফতে বিষয়টি জানাজানি হলে তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। সমালোচকদের দাবি, বৈষম্য বা কোটার জন্য যেই গণঅভ্যুত্থান সেখানে আবার বৈষম্য জারি রাখা হচ্ছে। আওয়ামী পন্থী অ্যাক্টিভিস্টরা এ নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। অনেকে এটাকে কোটায় ভর্তি উল্লেখ করে ‘উদ্দেশ্যমূলক‘ প্রচারণা করেছে।
বাংলাফ্যাক্ট আরো জানায়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, মাত্র এক বছরের জন্য ঢাবি ভর্তিতে শহীদ-আহত পরিবারের সদস্যরা শুধু ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। সেটি নির্ধারণ করবে ডিনস কমিটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম-সিন্ডিকেট। এটা কোনো নীতিমালা নয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।