বাসস
  ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২:০৪

চার দিনব্যাপী ‘ওয়েফেয়ার্স অব দ্য শ্যাডোড পাথ’ চিত্র প্রদর্শনী সমাপ্ত

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : শিল্পী মাসুদুর রহমানের একক চিত্র প্রদর্শনী ‘ওয়েফেয়ার্স অব দ্য শ্যাডোড পাথ’-বাংলায় ‘ছায়াপথের পথিকেরা’-এর চার দিনব্যাপী আয়োজন আজ বনানীর নুক গ্যালারিতে সমাপ্ত হয়েছে।

প্রদর্শনীতে প্রায় ৪০টি চারকোল, তেল ও এক্রেলিক মাধ্যমে নির্মিত চিত্রকর্ম স্থান পায়, যেখানে প্রকৃতি, মহাবিশ্ব, অস্তিত্ব ও শূন্যতার নানা দিক তুলে ধরা হয়। দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় একটি বিশেষ লাইভ পেইন্টিং সেশন।

বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে আয়োজক ও শিল্পী মাসুদুর রহমান বলেন, “দর্শকদের অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিপুল সাড়া আমাকে অভিভূত করেছে। তারা আমার কাজ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন এবং কৌতূহলভরে নানা প্রশ্ন করেছেন। প্রদর্শনীর দিক থেকে এটি অত্যন্ত সফল একটি আয়োজন।”

নিজের শিল্পকর্ম সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমার চিত্রের ভিজ্যুয়াল প্যাটার্ন আবর্তিত হয় ‘ইনফিনিটি লাইন’ বা ‘কসমিক লাইন’-এর ধারণাকে ঘিরে। আমি মানুষের শরীরের ভেতর থেকে মহাবিশ্বকে উপলব্ধির এক অনুভূতি অন্বেষণ করি। আমার কাছে গ্যালাক্সি ও মানবদেহ পরস্পর সংযুক্ত-এক গভীর সত্তা যেন এই দুটিকে একসূত্রে বেঁধে রাখে।”

শিল্প-দর্শনের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমার নিজস্ব এক গ্যালাক্সি আছে, যা গঠিত হয়েছে সেইসব মানুষদের দিয়ে, যাদের আমি জীবনে পেয়েছি ও কথা বলেছি। এই প্রদর্শনীতে আমি সেই গ্যালাক্সিকেই এঁকেছি, যা আমার হৃদয়ের গভীরে অবস্থান করে। এই স্থানটাই আমার উপলব্ধি ও অনুভূতির কেন্দ্র, যেখান থেকে আমার শিল্পের জন্ম হয়।”

মাসুদুর রহমানের শিল্পভ্রমণ শুরু হয় কবিতা দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওরিয়েন্টাল আর্ট বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে পড়াশোনা করেন। তার শিল্পকর্মে প্রাধান্য পায় মানবিক অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন-যেখানে প্রকৃতিকে এক গভীর রূপকের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।

আজ সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে দর্শক ও সহ-আয়োজকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শিল্পী মাসুদুর রহমান স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।