বাসস
  ২০ আগস্ট ২০২৫, ২০:১১
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৪৪

ভারতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অফিস বন্ধের আহ্বান ঢাকার

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতকে দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি ও কলকাতায় স্থাপিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া বাংলাদেশে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়সমূহ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্বারা- বিশেষত নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে ভারতের মাটিতে বৈধ বা অবৈধভাবে অবস্থান করে কার্যালয় স্থাপনসহ বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী যে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট চ্যালেঞ্জ।’

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষিদ্ধ দলটি ভারতে কার্যালয় স্থাপন করেছে বলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে যখন ‘ভারতের মাটিতে বাড়তে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড’ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এটি আরও উল্লেখ করে, ‘এই উন্নয়ন বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে এবং পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ-ভারত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করছে।’

বিবৃতিতে আরও সতর্ক করে দেওয়া হয়, এই বিষয়টি ‘বাংলাদেশে জনমত উত্তেজিত করতে পারে, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার চলমান প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অতএব, বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে যেন অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় যাতে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের মাটিতে অবস্থান করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না পারে, এবং কোনোভাবেই এমন কার্যক্রমকে অনুমোদন বা সহায়তা দেওয়া না হয়।

পাশাপাশি, ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অফিসসমূহ দ্রুত বন্ধ করতে হবে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষিদ্ধ দলের অনেক সিনিয়র নেতা ‘বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধে দায়ের করা একাধিক মামলায় পলাতক অবস্থায় এখনো ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থান করছে।’

বিবৃতিতে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, চলতি বছরের ২১ জুলাই একটি এনজিও’র আড়ালে ‘এই নিষিদ্ধ দলের কিছু সিনিয়র নেতা দিল্লি প্রেস ক্লাবে গণসংযোগ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিল এবং পরবর্তীতে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে বুকলেট বিতরণ করেছিল।’

এছাড়া বিবৃতিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনও উল্লেখ করা হয়, যেখানে দলটির ‘ভারতের মাটি থেকে কার্যক্রম পরিচালনার ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপ’ নিশ্চিত করা হয়েছে।