বাসস
  ০৫ জুলাই ২০২২, ০৯:২৬
আপডেট  : ০৫ জুলাই ২০২২, ০৯:৫১

এখনই ভারত সফর নিয়ে ভাবছেন অস্ট্রেলিয়ার সুইপসন

গল (শ্রীলংকা), ৫ জুলাই ২০২২ (বাসস/এএফপি) : বর্তমানে  শ্রীলংকা সফর করছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। সফরে ইতোমধ্যেই দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে সফরকারী অসিরা। এর আগে পাকিস্তান সফরেও সাফল্য পেয়েছে  দলটি। এখই  আগামী বছরের ভারত সফর নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার  মিচেল সুইপসন।  তার মতে এর আগে  পাকিস্তানে এবং বর্তমানে শ্রীলংকা সফরের  সাফল্য মূলত  ভারত সফরের জন্য ‘অসাধারণ’  প্রস্তুতি।  সুইপসন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য আগামী বছর ভারত সফরে সাফল্য পাওয়া। 
সতীর্থ নাথান লিয়নের সঙ্গে লংকানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন  লেগ স্পিনার সুইপস । 
গত মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর গলের টার্নিং পিচে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট  জিতে নিয়েছে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলীয় দল। সুইপসন আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অবশ্যই ভারতর দিকে দৃষ্টি  রাখছি। সেখানে অবশ্যই  আমাদের  একটি লক্ষ্য আছে। ভারতের মাটিতে  তাদের  বিপক্ষে সিরিজ জয় করতে পারাটা হবে অসাধারণ কিছু।
তবে এর আগে অনেক টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। যেখানে কন্ডিশনের কারণে হয়তো পেসাররা গুরুত্ব পাবে। আমার কাছে এটি হচ্ছে প্রস্তুত হবার বিষয়।’
আগামী ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে চার টেস্টের সিরিজ খেলতে ভারত সফরের কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। যেটি হবে হাই-প্রোফাইল সিরিজ। কারণ ওই সিরিজের ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ফাইনালিস্ট। 
আগামী শুক্রবার গলে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অংশ নিতে যাওয়ার আগে এখনো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। সুইপসন বলেছেন, সাম্প্রতিক এই জয়গুলো ভারতীয়দের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত করছে অস্ট্রেলিয়াকে। 
তিনি বলেন,‘ শুধু টেস্ট ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাই একটি বড় প্রস্তুতি।’ পাকিস্তানে অভিষেক সফরের দুই টেস্টে মাত্র দুই উইকেট পাওয়া সুইপসন আরো বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তানের সফরটি ছিল আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন। কিন্তু যদি সেখানে টেস্ট দুটিতে খেলতে না পারতাম, তাহলে প্রথম টেস্টে এখানে আমি যে প্রভাবটি বিস্তার করেছি তা হয়তো পারতাম না। সুতরাং আপনি যতই গ্রীন ব্যাগির হয়ে খেলবেন ততই শিখতে পারবেন।’
কয়েক বছর আগে ব্রিজবেনের ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারের (এনসিসি) যে গ্রুপটি চেন্নাইয়ের এমআরএফ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল, সেখানে ২৮ বছর বয়সি সুইপসনও ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের কারণেই টার্নিং উইকেটে রিস্ট পজিশন বোলিং ও স্কয়ার সিমে এই সাফল্য পাচ্ছেন বলে জানান  সুইপসন।            
তিনি বলেন, ‘সম্ভবত প্রথমবারের মতো আমি স্কয়ার সিমে বোলিং করে সাফল্য পেয়েছি। এ জন্য গলের মতো স্লথ টার্নিং উইকেট হচ্ছে সঠিক জায়গা। এই ধরনের উইকেটের জন্য আমি পর্দার আড়ালেও অনেক কঠোর পরিশ্রম করে গেছি। যার শুরু ২০১৬-১৭ সালে, যখন আমি ভারতের এমআরএফ সফরের অংশ ছিলাম।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়