বাসস
  ০৩ জুলাই ২০২২, ১৮:২৯

সেঞ্চুরিতে পান্থের কোন কৃতিত্ব দেখছেন না পাকিস্তানী আসিফ

করাচি, ৩ জুলাই ২০২২ (বাসস) : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতেই চাপে পড়েছিলো সফরকারী ভারত। ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। এ অবস্থায় ষষ্ঠ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ২২২ রানের জুটি গড়েন পান্থ। ব্যাট হাতে  ঝড়ো গতিতে  সেঞ্চুরি তুলে নেন পান্থ। সেঞ্চুরির করেন জাদেজাও। তবে পান্থের সেঞ্চুরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানে সাবেক পেসার মোহাম্মদ আসিফ।
তার মতে, এমন সেঞ্চুরির পেছনে পান্থের কোন কৃতিত্ব ছিলো না। ইংল্যান্ডের বোলারদের ভুলেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন পান্থ।
দলের স্কোর ১শ হবার আগেই টপ-অর্ডার পাঁচ ব্যাটারের বিদায়ের পর ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন পান্থ। ৫১ বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। আর ৮৯ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিতে পা রাখেন পান্থ। শেষ পর্যন্ত ১১১ বল খেলে ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৪৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
তবে পান্থের এই ইনিংসের কোন সুনাম করতে রাজি নন আসিফ। ইংল্যান্ডের বোলারদের ভুলের সুযোগ নিয়ে এমন সেঞ্চুরি পেয়েছেন পান্থ। নিজের যোগাত্য বা সামর্থ্যে এই ইনিংস গড়তে পারেননি পান্থ বলে মনে করেন আসিফ।
টুইটারে একটি ভিডিওতে আসিফ বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণরূপে ইংল্যান্ডের বোলারদের ভুল ছিল। কারণ বিশেষ কিছু করেনি পান্থ। টেকনিক্যালি তার অনেক ভুল ছিল। তার বাঁ-হাত কাজ করে না, তারপরও সে সেঞ্চুরি করেছে। কারণ পান্থের দুর্বল জায়গায় বল করেনি ইংল্যান্ডের বোলাররা।’
কোন ইংল্যান্ডের বোলাররের নাম স্পষ্ট করে না বলে আসিফ আরও বলেন, ‘আমি আলাদা করে কারও নাম বলবো না। কিন্তু ইংল্যান্ড অনেক ভুল করেছে। যখন জাদেজা এবং পান্থ ব্যাটিং করছিলো, তখন তারা একজন বাঁ-হাতি স্পিনার নিয়ে এসেছিল। যা ঐ মুহূর্তে আদর্শ সময় ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পান্থের বিপক্ষে না। কিন্তু প্রতিপক্ষের এই ধরনের সিদ্ধান্তে আপনি বড় স্কোর করার সুযোগ পান।’
কয়েক বছর আগেও ভারতের বিরাট কোহলির ব্যাটিং টেকনিকে ভুল দেখতে পেয়েছিলেন আসিফ। তবে কোহলিকে ব্যাটিং করতে দেখে ভালো লেগেছে তার।
আসিফ বলেন, ‘আমি কয়েক বছর আগে কোহলির টেকনিক্যাল ভুলের কথা বলেছিলাম। কিন্তু মানুষ আমাকে ভুল বুঝেছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ দেখুন, অনেক দিন ধরে সেঞ্চুরি করেননি কোহলি। কোহলির খেলা দেখতে ভালোবাসি এবং এমনকি সে আমার চেয়ে বড় খেলোয়াড়। কিন্তু টেকনিক্যালি, আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে কোহলিকে।’
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে নো-বল করার দায়ে অভিযুক্ত হন আসিফসহ সালমান বাট ও মোহাম্মদ আমির। অভিযোগ প্রমাণ হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
বাটকে দশ বছর, আসিফকে সাত বছর ও আমেরকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
দেশের হয়ে ৩৬ টেস্টে ১১৯টি, ৬১টি ওয়ানডেতে ৮১টি ও ৫০টি টি-টোয়েন্টিতে ৫৯ উইকেট আছে ৩০ বছর বয়সী আমিরের।
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়